পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মরণ " ܬ হে লক্ষ্মী, তোমার আজি নাই অন্তঃপুর । সরস্বতীরূপ আজি ধরেছ মধুর, দাড়ায়েছ সংগীতের শতদলদলে । মানসসরসী আজি তব পদতলে নিখিলের প্রতিবিম্বে রঞ্জিছে তোমায় । চিত্তের সৌন্দর্য তব বাধা নাহি পায়সে আজি বিশ্বের মাঝে মিশিছে পুলকে সকল আনন্দে আর সকল আলোকে সকল মঙ্গল-সাথে । তোমার কঙ্কণ । কোমল কল্যাণপ্ৰভা করেছে অপণি সকল সতীর করে । মেহাতুর হিয়া নিখিল নারীর চিত্তে গিয়েছে গলিয়া । সেই বিশ্বমূর্তি তব আমারি অন্তরে - লক্ষ্মী-সরস্বতী-রূপে পূর্ণরূপ ধরে। শান্তিনিকেতন ৪ পৌষ [১৩০৯] Σ Ο তোমার সকল কথা বল নাই, পার নি বলিতে, আপনারে খর্ব করি রেখেছিলে তুমি, হে লজিতে, যতদিন ছিলে হেথা । হৃদয়ের গৃঢ় আশাগুলি যখন চাহিত তারা কাদিয়া উঠিতে কণ্ঠ তুলি, । তর্জনী-ইঙ্গিতে তুমি গােপনে করিতে সাবধান ব্যাকুল সংকোচবিশে, পাছে ভুলে পায় অপমান । আপনার অধিকার নীরবে নির্মম নিজকরে রেখেছিলে সংসারের সবার পশ্চাতে হোেলাভরে । লজার অতীত আজি মৃত্যুতে হয়েছ মহীয়সীমোর হদিপদ্মদলে নিখিলের অগোচরে বসি নতনেত্ৰে বলো তব জীবনের অসমাপ্ত কথা ভাষাবাধাহীন বাক্যে ৷ দেহমুক্ত তব বাহুলতা জড়াইয়া দাও মোর মর্মের মাঝারে একবারআমার অন্তরে রাখো তোমার অন্তিম অধিকার । শান্তিনিকেতন ' ৪ পৌষ [১৩০৯] Ο Σ মৃত্যুর নেপথ্য হতে আরবার এলে তুমি ফিরে নূতন বধূর সাজে হৃদয়ের বিবাহমন্দিরে