পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মরণ লিখিয়াছ সে জন্মের সায়াহ্নের হারানাে কাহিনী ! আজি এই দ্বিপ্রহরে পল্লবের মর্মররাগিণী তোমার সে কবেকার দীর্ঘশ্বাস করিছে প্রচার ! আতপ্ত শীতের রৌদ্রে নিজহস্তে করিছ। বিস্তার दऊ • ধ্যাহ্নের সুনিবিড় সুখের স্তব্ধতা ! আপনার পানে চেয়ে বসে বসে ভাবি এই কথা— কত তব রাত্রিদিন কত সাধ মোরে ঘিরে আছে, * তাদের ক্ৰন্দন শুনি ফিরে ফিরে ফিরিতেছ। কাছে । i ান্তিনিকেতন ৩ পৌষ ১৩০৯ শান্তিনিকেতন SA বজ যথা বর্ষণেরে আনে অগ্রসারি কে জানিত তব শোক সেইমত করি আনি দিবে। অকস্মাৎ জীবনে আমার বাধাহীন মিলনের নিবিড় সঞ্চার ! গাথিয়া সীমান্তে পরি ব্যর্থশোক-’পরে নীরবে হানিছ তব কৌতুকের হাসি । ক্ৰমে সব হতে যত দূরে গেলে ভাসি তত মোর কাছে এলে । জানি না। কী করে সবারে বঞ্চিয়া তব সব দিলে মোরে । মৃত্যু-মাঝে আপনারে করিয়া হরণ আমার নয়নে তুমি পেতেছ। আলোকএই কথা মনে জানি নাই মোর শোক । ৬ পৌষ [১৩০৯] Sb সংসার সাজায়ে তুমি আছিলে রমণী, আমার জীবন আজি সাজাও তেমনি নির্মল সুন্দর করে। ফেলি দাও বাছি যেথা আছে যত ক্ষুদ্র তৃণকুটাগাছি উপেক্ষিত ছিন্নখণ্ড যত । আনো নীর, সকল কলঙ্ক আজি করো গো মার্জনা, বাহিরে ফেলিয়া দাও যত আবর্জনা । যেথা মোর পূজাগৃহ নিভৃত মন্দিরে সেথায় নীরবে এসে দ্বার খুলি ধীরে— OSRA