পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে আজ কিসের তরে নদীর চরে চখাচখীির মেলা ! অন্য দল আসিয়া। ঠাকুর্দা, এই বুঝি ! আমাদের তুমি ডেকে আনলে না কেন ? তোমার সঙ্গে আড়ি! জন্মের মতো আড়ি! : ঠাকুরদাদা। এতবড়ো দণ্ড ! নিজেরা দোষ করে আমাকে শান্তি! আমি তোদের ডেকে বের করব, না তোরা আমাকে ডেকে বাইরে টেনে আনবি ! না ভাই, আজ ঝগড়া না, গান ধরা।-- ওরে যাব না। আজ ঘরে রে ভাই, : यात कीं उांछ श6 | ওরে আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ নেব রে লুঠ করে । বাতাসে আজ ছুটছে হাসি, আজ বিনা কাজে বাজিয়ে বঁাশি কাটবে সকল বেলা । প্রথম বালক । ঠাকুর্দা, ঐ দেখো, ঐ দেখো, সন্ন্যাসী আসছে। দ্বিতীয় বালক । বেশ হয়েছে, বেশ হয়েছে, আমরা সন্ন্যাসীকে নিয়ে খেলাব । আমরা সব চেলা जछद । । তৃতীয় বালক। আমরা ওঁর সঙ্গে বেরিয়ে যােব, কোন দেশে চলে যাব কেউ খুঁজেও পাবে না। ঠাকুরদাদা। আরো চুপ, চুপ! সকলে । সন্ন্যাসীঠাকুর । সন্ন্যাসীঠাকুর ! ঠাকুরদাদা। আরে থাম থাম। ঠাকুর রাগ করবে। সন্ন্যাসীর প্রবেশ বালকগণ। সন্ন্যাসীঠাকুর, তুমি কি আমাদের উপর রাগ করবে ? আজ আমরা সব তোমার চেলা হব | সন্ন্যাসী । হা হা হা হা ! এ তো খুব ভালো কথা। তার পরে আবার তোমরা সব শিশু-সন্ন্যাসী সেজে, আমি তোমাদের বুড়ো চেলা সািজব। এ বেশ খেলা, এ চমৎকার খেলা । ঠাকুরদাদা। প্ৰণাম হই, আপনি কে ? সন্ন্যাসী । আমি ছাত্র । ঠাকুরদাদা। আপনি ছাত্র ? সন্ন্যাসী। হ্যা, পুঁথিপত্র সব পোড়াবার জন্যে বের হয়েছি। ঠাকুরদাদা। ও ঠাকুর, বুঝেছি। বিদ্যের বোঝা সমস্ত ঝেড়ে ফেলে দিব্যি একেবারে হালকা হয়ে সমুদ্রে, পাড়ি দেবেন। সন্ন্যাসী। চােখের পাতার উপরে পুঁথির পাতাগুলো আড়াল করে খাড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেইগুলো খসিয়ে ফেলতে চাই । 를 ঠাকুরদাদা। বেশ বেশ ! আমাকেও একটু পায়ের ধুলো দেবেন। প্ৰভু, আপনার নাম বোধ করি শুনেছি- আপনি তো স্বামী অপূর্বানন্দ ! ছেলেরা। সন্ন্যাসীঠাকুর, ঠাকুরদাদা কী মিথ্যে বকছেন । এমনি করে আমাদের ছুটি বয়ে যাবে | সন্ন্যাসী । ঠিক বলেছ, বৎস, আমারও ছুটি ফুরিয়ে আসছে। ‘ · , v