পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা স্বপ্নসম লোকযাত্ৰা । সহসা শিহরি কঁপিয়া কহিল শ্যামা, ‘আহা-মারি মারি ! মহেন্দ্ৰনিন্দিতকান্তি উন্নতাদর্শন কারে বন্দী করে আনে চোরের মতন কঠিন শৃঙ্খলে ! শীঘ্ৰ যা লো সহচরী, বল গে নগরপালে মোর নাম করি শ্যামা ডাকিতেছে তারে, বন্দী সাথে লয়ে একবার আসে যেন এ ক্ষুদ্র আলিয়ে দয়া করি !” শ্যামার নামের মন্ত্রগুণে উতলা নগর রক্ষী আমন্ত্রণ শুনে রোমাঞ্চিত ; সত্যুর পশিল গৃহমাঝে, পিছে বন্দী বজসেন নতশির লাজে আরক্তক পোল । কহে রক্ষী হাস্যভারে, অযাচিত অনুগ্রহ ! চলেছি সম্প্রতি রাজকার্ষে । সুদর্শনে, দেহে অনুমতি ৷” বজাসেন তুলি শিরা সহসা কহিলা, “একি লীলা, হে সুন্দরী, একি তব লীলা ! পথ হতে ঘরে আনি কিসের কৌতুকে নির্দোষ এ প্রবাসীর অবমানদুখে করিতেছ অবমান !” শুনি শ্যামা কহে, “হায় গো বিদেশী পান্থ, কৌতুক এ নহে, তোমার আর্সেতে যাত স্বর্ণ-অলংকার সমস্ত সপিয়া দিয়া শঙ্খল তোমার তে পারি নিজ দেহে ; তব অপমানে মোর আস্তরাত্মা আজি অপমান মানে ৷” এত বলি সিক্তপক্ষ্ম দুটি চক্ষু দিয়া সমস্ত লাঞ্ছনা যেন লইল মুছিয়া

  • আমার যা আছে লয়ে নির্দোষ বন্দীরে মুক্ত করে দিয়ে যাও ।” কহিল প্রহরী, ‘তব অনুনয় আজি ঠেলিনু সুন্দরী, এত এ অসাধ্য কাজ । হােত রাজকোষ, বিনা করো প্ৰাণপাতে নৃপতির রোষ

কাতরে কহিল শ্যামা, “শুধু দুটি রাত বন্দীরে বাচায়ে রেখো। এ মিনতি করি ।” “রাখিব তোমার কথা” কহিল প্রহরী । রমণী পশিল কক্ষে, হাতে দীপ জ্বালা, vs. G