পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শারদোৎসব bre সন্ন্যাসী । তা হলে গোড়া থেকে শুরু করে । তোমার খণ্ডরাজ্যটি ছেড়ে দাও । রাজা। পরিহাস নয়। ঠাকুর । বিজয়াদিত্যের প্রতাপ আমার অসহ্য বোধ হয়, আমি তার সামন্ত হয়ে থাকতে পারব না । সন্ন্যাসী। রাজন, তবে সত্য কথা বলি, আমার পক্ষেও সে ব্যক্তি অসহ্য হয়ে উঠেছে। ब्राऊा । दळ कैी लाकू ? সন্ন্যাসী । এক বৰ্ণও মিথ্যা বলছি নে । তাকে বশ করবার জন্যেই আমি মন্ত্রসাধনা করছি । রাজা। তাই তুমি সন্ন্যাসী হয়েছ ? সন্ন্যাসী । তাই বটে । রাজা । মস্ত্রে সিদ্ধিলাভ হবে ? সন্ন্যাসী । অসম্ভব নয় । রাজা। তা হলে ঠাকুর, আমার কথা মনে রেখো। তুমি যা চাও আমি তোমাকে দেব। যদি সে বশ মানে তা হলে আমার কাছে যদি- . সন্ন্যাসী । তা বেশ, সেই চক্রবর্তী-সম্রাটকে আমি তোমার সভায় ধরে আনব । রাজা। কিন্তু, বিলম্ব করতে ইচ্ছা করছে না। শরৎকাল এসেছে— সকালবেল উঠে বেতসিনীর জলের উপর যখন আশ্বিনের রৌদ্র পড়ে তখন আমার সৈন্যসামন্ত নিয়ে দিগবিজয়ে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে । যদি আশীর্বাদ কর তা হলে সন্ন্যাসী। কোনো প্রয়োজন নেই ; শরৎকালেই আমি তাকে তোমার কাছে সমৰ্পণ করব, এই তো উপযুক্ত কাল । তুমি তাকে নিয়ে কী করবে ? রাজা। আমার একটা কোনাে কাজে লাগিয়ে দেব- তার অহংকার দূর করতে হবে। সন্ন্যাসী। এ তো খুব ভালো কথা। যদি তার অহংকার চূর্ণ করতে পার তা হলে ভারি খুশি হব। রাজা । ঠাকুর, চলে আমার রাজভবনে । সন্ন্যাসী । সেটি পারছি নে। আমার দলের লোকদের অপেক্ষায় আছি। তুমি যাও বাবা ! আমার জন্যে কিছু ভেবো না । তোমার মনের বাসনা যে আমাকে ব্যক্ত করে বলেছ এতে আমার ভারি আনন্দ । হচ্ছে। বিজয়াদিত্যের যে এত শত্রু জমে উঠেছে তা তো আমি জানতেম না । ” রাজা। তবে বিদায় হই। প্ৰণাম ! ! r (পুনশ্চ ফিরিয়া আসিয়া) আচ্ছা ঠাকুর, তুমি তো বিজয়াদিত্যকে জান, সত্য করে বলে দেখি, লোকে তার সম্বন্ধে যতটা রটনা করে ততটা কি সত্য ? সন্ন্যাসী । কিছুমাত্র না । লোকে তাকে একটা মস্ত রাজা বলে মনে করে- কিন্তু সে নিতান্তই সাধারণ মানুষের মতো । তার সাজসজ্জা দেখেই লোকে ভুলে গেছে । : রাজা। বল কী ঠাকুর, হা হা হা হা! আমিও তাই ঠাউরেছিলেম। অ্যা! নিতান্তই সাধারণ মানুষ ! ! সন্ন্যাসী । আমার ইচ্ছে আছে আমি তাকে সেইটে আচ্ছা করে বুঝিয়ে দেব। সে যে রাজার 8 S (e