পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শারদোৎসব দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া । কোন সাগরের পার হতে আনে কোন সুদূরের ধন ! (\UbG» GRI(V5 bRI Aqe, ফেলে যেতে চায় এই কিনারায় । সব চাওয়া সব পাওয়া ! 35 ks (M73 VGKমুখে এসে পড়ে অরুণকিরণ ছিন্ন মেঘের ফঁাকে । ওগো কাণ্ডারী, কে গো তুমি, কার হাসিকান্নার ধনভেবে মরে মোর মন কোন সুরে আজ বাধিবে যন্ত্র, কী মন্ত্র হবে গাওয়া ! এবারে আর দেখতে পাই নি বলবার জো নেই। প্রথম বালক। কই ঠাকুর, দেখিয়ে দাও-না। : সন্ন্যাসী । ঐ-যে সাদ মেঘ ভেসে আসছে । দ্বিতীয় বালক । হা হা, ভেসে আসছে। তৃতীয় বালক ৷ হাঁ, আমিও দেখেছি। সন্ন্যাসী। ঐ-যে আকাশ ভরে গেল! প্রথম বালক- | কিসে ? \SV) সন্ন্যাসী । কিসে ! এই তো স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে আলোতে, আনন্দে ! বাতাসে শিশিরের পরশ পােচ্ছ NI ? দ্বিতীয় বালক । ইয়া, পাচ্ছি। সন্ন্যাসী। তবে আর-কি! চক্ষু সার্থক হয়েছে, শরীর পবিত্র হয়েছে, মন প্রশান্ত হয়েছে! এসেছেন, এসেছেন, আমাদের মাঝখানেই এসেছেন ! দেখছি না বেতসিনী নদীর ভাবটা !! আর, ধানের খেত কী রকম চঞ্চল হয়ে উঠেছে! গাও গাও, ঠাকুর্দা, বরণের গানটা গাঁও ! छैाकूट्सा । 5R আলেয়া | একতালা আমার নয়ন-ভুলানো এলে ! আমি কী হেরিলাম হৃদয় মেলে ! / সন্ন্যাসী | যাও বাবা, তোমরা সমস্ত বনে বনে নদীর ধারে ধারে গেয়ে এসে গে । ['ছেলেদের গাহিতে গাহিতে প্রস্থান ঠাকুরদাদা। প্ৰভু, আমি যে একেবারে ডুবে গিয়েছি। ডুবে গিয়ে তােমার এই পায়ের তলাটিতে এসে ঠেকেছি। এখান থেকে আর নড়তে পারব না । লক্ষেশ্বরের প্রবেশ ঠাকুরদাদা। এ কী হল ! লাখ গেরুয়া ধরেছে যে ! লক্ষেশ্বর। সন্ন্যাসীঠাকুর, এবার আর কথা নেই। আমি তোমারই চেলা । এই নাও আমার