পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা। রাজা বসে ছিল সভার মাঝারে, পারিষদ সারি সারিকবীর আসিয়া পশিল সেথায় পশ্চাতে লয়ে নারী । কেহ হাসে কেহ করে ভুরুকুটি, কেহ রহে নতশিরে, রাজা ভাবে- এটা কেমন নিলাজ রমণী লইয়া ফিরে ! ইঙ্গিতে তার সাধুরে সভার বাহির করিল দ্বারী, পথমাঝে ছিল ব্ৰাহ্মণদল, কৌতুক ভরে হাসে— শুনায়ে শুনায়ে বিদ্রুপবাণী কহিল কঠিন ভাযে । তখন রমণী কঁদিয়া পড়িল সাধুর চরণমূলে— কহিল, ‘পাপের পাঙ্ক হইতে কেন নিলে মোরে তুলে ! কেন অধমারে রাখিয়া দুয়ারে সহিতেছ অপমান ! কহিল কবীর, ‘জননী, তুমি যে আমার প্রভুর দান ।” २५ ग्रांश्र्न् िS७०७ স্বামীলাভ ७९४२४I०ा একদা তুলসীদাস জাহ্নবীর তীরে সন্ধ্যায় আপন-মনে এক এক ফিরে মাতি নিজগানে । হেরিলেন মৃত পতি -চরণের তলে তারি সনে একসাথে এক চিন্তানলে মরিবারে মতি । সঙ্গীগণ মাঝে মাঝে আনন্দচীৎকারে করে জয়নাদ, পুরোহিত ব্ৰাহ্মণের ঘোরি চারি ধারে গাহে সাধুবাদ । সহসা সাধুরে নারী হেরিয়া সম্মুখে করিয়া প্ৰণতি কহিল বিনয়ে, ‘প্রভো, আপন শ্ৰীমুখে দেহাে অনুমতি ।” তুলসী কহিল, ‘মাতঃ, যাবে কোনখানে, , ७ऊ ऊअब् !' সতী কহে, ‘পতিসহ যাব স্বৰ্গপানে করিয়াছি মন ।” 8.