পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q○や । ब्रौक्ष-प्रश्नांदगी পষ্ণু হাত জোড় করে বললে, হুজুর, রাজায় রাজায় লড়াই, পুলিসের দারোগ থেকে উকিল-ব্যারিস্টর পর্যন্ত শকুনি-গৃধিনীর পাল জমে যাবে, সবাই দেখে আমোদ করবে, কিন্তু মরবার বেলায় আমি মরব। - কেন, তোর কী করবে ? ঘরে আমার আগুন লাগিয়ে দেবে, ছেলেমেয়ে-সুন্ধু নিয়ে পূড়ব । ) মাস্টারমশায় বললেন, আচ্ছা, তোর ছেলেমেয়েরা কিছুদিন আমার ঘরেই থাকবে, তুই ভয় করিস নে ; তোর ঘরে বসে তুই যেমন ইচ্ছে ব্যাবসা কর, কেউ তোর গায়ে হাত দিতে পারবে না। অন্যায়ের কাছে তুই হার মেনে পালাবি এ আমি হতে দেব না। যত সইব বােঝা ততই বাড়বে। সেইদিনই পঞ্চর জমি কিনে রেজেস্ত্রী করে আমি দখল করে বসলুম। তার পর থেকে ঝুটােপুটি ष्ठळ | পঞ্চর বিষয়-সম্পত্তি ওর মাতামহের। পঞ্চ ছাড়া তার ওয়ারিশ কেউ ছিল না। এই কথাই সকলের জানা। হঠাৎ কোথা থেকে এক মামী এসে জুটে জীবনস্বত্বের দাবি করে তার পুঁটুলি, তার প্যাটরা, হরিনামের বুলি এবং একটি প্রাপ্তবয়স্ক বিধবা ভাইঝি নিয়ে পঞ্চর ঘরের মধ্যে উপস্থিত। পষ্ণু অবাক হয়ে বললে, আমার মামী তো বহুকাল হল মারা গেছে। তার উত্তর, প্রথম পক্ষের মামী মারা গেছে বটে, দ্বিতীয় পক্ষের অভাব হয় নি । কিন্তু মামার মৃত্যুর অনেক পরে যে মামী মরেছে, দ্বিতীয় পক্ষের তো সময় ছিল না। স্ত্রীলোকটি স্বীকার করলে দ্বিতীয় পক্ষটি মৃত্যুর পরের নয়, মৃত্যুর পূর্বের। সতিনের ঘর করবার ভয়ে বাপের বাড়ি ছিল, স্বামীর মৃত্যুর পরে প্রবল বৈরাগ্যে সে বৃন্দাবনে চলে যায় ; কুণ্ডু-জমিদারের আমলারা এসব কথা কেউ কেউ জানে, বোধ করি প্রজাদেরও কারও কারও জানা আছে, আর জমিদার যদি জোরে হীক দেয়। তবে বিবাহের সময়ে যারা নিমন্ত্রণ খেয়েছিল তারাও বেরিয়ে আসতে 9S সেদিন দুপুরবেলা পঞ্চর এই দুগ্রহ নিয়ে আমি যখন খুব ব্যস্ত আছি। এমন সময় অন্তঃপুর থেকে বিমলা আমাকে ডেকে পাঠালেন । আমি চমকে উঠলুম ; জিজ্ঞাসা করলুম, কে ডাকছে ? বললে, রানীমা । বড়োরানীমা ? না, ছোটোরানীমা । ছোটোরানী ! মনে হল এক-শো বছর ছোটোরানী আমাকে ডাকে নি । বৈঠকখানা-ঘরে সবাইকে বসিয়ে রেখে আমি অন্তঃপুরে চললুম। শোবার ঘরে বিমলাকে দেখে আরো আশ্চর্য হলুম, যখন দেখা গেল সর্বাঙ্গে, বেশি নয়, অথচ বেশ একটু সাজের আভাস আছে। কিছুদিন এই ঘরটার মধ্যেও যত্নের লক্ষণ দেখি নি, সব এমন এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল যে মনে হত, যেন ঘরটা সুদ্ধ অন্যমনস্ক হয়ে গেছে। ওরই মধ্যে আগেকার মতাে আজ একটু পারিপাট্য দেখতে পেলুম। আমি কিছু না বলে বিমলার মুখের দিকে চেয়ে দাঁড়িয়ে রইলুম। বিমলার মুখ একটু লাল হয়ে উঠল, সে ডান হাত দিয়ে তার বা হাতের বালা দ্রুতবেগে ঘোরাতে ঘোরাতে বললে, দেখো, সমস্ত বাংলাদেশের মধ্যে কেবল আমাদের এই হাটটার মধ্যেই বিলিতি কাপড় আসছে, এটা কি ভালো হচ্ছে ? 单 আমি জিজ্ঞাসা করলুম, কী করলে ভালো হয় ? ঐ জিনিসগুলো বের করে দিতে বলো-না । জিনিসগুলো তো আমার নয়। । किg, शी (डा (ठीभाल ।