পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ Օ বঁাশি বেজে উঠল। দ্রুত তালে । কুণ্ডলেতে দোলে মুক্তমালা, কঠিন হাতে মোটা সোনার বালা, দাসীর হাতে দিয়ে ফাগের থালা রানী বনে এলেন হেনকালে । বঁাশি তখন বাজছে দ্রুত তালে । কেসার কহে, “ তোমারি পথ চেয়ে দুটি চক্ষু করেছি। প্ৰায় কানা !” একশো সখী হাসিয়া বিবশা— পাঠান-পতির ললাটে সহসা মারেন রানী বঁকাসার থালাখানা । রক্তধারা গড়িয়ে পড়ে বেগে পাঠান-পতির চক্ষু হল কানা । বিনা মেঘে বজরাবের মতো উঠল। বেজে কাড়া-নাকাড়া | জ্যোৎস্নাকাশে চমকে ওঠে। শশী, ঝনঝনিয়ে ঝিকিয়ে ওঠে আসি, সানাই তখন দ্বারের কাছে বসি গভীর সুরে ধরল কানাড়া । কুঞ্জবনের তরুণ-তলৌ-তলে উঠল বেজে কাড়া-নাকাড়া । বাতাস বেয়ে ওড়না গেল উড়ে, পড়ল। খসে ঘাগরা ছিল যত । মস্ত্ৰে যেন কোথা হতে কে রে বাহির হল নারী-সজা ছেড়ে, এক শত বীর ঘিরল পাঠানেরে পুষ্প হতে একশো সাপের মতো । স্বপ্নসম ওড়না গেল উড়ে, পড়লা খসে ঘাগরা ছিল যত । যে পথ দিয়ে পাঠান এসেছিল সে পথ দিয়ে ফিরল নাকো তারা । ফাগুন-রাতে কুঞ্জবিতানে মত্ত কোকিল বিরাম না জানে,