পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOS বরষার নিবারে অঙ্কিতকায় দুই তীরে গিরিমালা কতদূর যায় ! - চলা যেন বাধা আছে আচল শিকলে । মেঘেরে ডাকিছে গিরি হস্ত বাড়ায়ে । তৃণহীন সুকঠিন বিদীর্ণ ধরা, রৌদ্র-বরন ফুলে কঁাটাগাছ ভরা । দিবসের তাপ ভূমি দিতেছে ফিরায়ে, পথহীন, জনহীন, শব্দবিহীন । ডুবে রবি, যেমন সে ডুবে প্রতিদিন । রঘুনাথ হেথা আসি যাবে উতরিলা, শিখগুরু পড়িছেন। ভগবৎ-লীলা । রঘু কহিলেন নমি চরণে র্তাহার, বাহু বাড়াইয়া গুরু শুধায় কুশল আশিসিলা মাথায় পরশি করতল । কনকে হীরকে গাথা বলয় দুখানি গুরুপদে দিলা রঘু জুড়ি দুই পাণি । ভূমিতল হতে বালা লইলেন তুলে, দেখিতে লাগিলা প্ৰভু ঘুরায়ে আঙুলে । ঈষৎ হাসিয়া গুরু পাশে দিলা রাখি, আবার সে পুঁথি-”পরে নিবেশিলা আঁখি । সহসা একটি বালা শিলাতল হতে গড়ায়ে পড়িয়া গেল যমুনার স্রোতে । “আহা আহা৷” চীৎকার করি রঘুনাথ বঁ্যাপায়ে পড়িল জলে বাড়ায়ে দু হাত । আগ্রহে যেন তারা প্ৰাণমন কায় একখানি বাহু হয়ে ধরিবারে যায় । বারেকের তরে গুরু না তুলিলা মুখ, নিভূত হৃদয়ে তার জাগে পাঠসুখ ।