পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዒ8br রবীন্দ্র-রচনাবলী লক্ষ্মী সৌন্দর্য ও সম্পদের দেবী ; গৌরী যেমন তপস্যা করিয়া শিবকে পাইয়াছিলেন, মর্তলোকে লক্ষ্মীও তেমনি দুঃখের সাধনার দ্বারাই ভগবানের সহিত মিলন লাভ করেন। যে মানুষ বা যে জাতির মধ্যে এই ত্যাগ নাই, তপস্যা নাই, দুঃখস্বীকারের জড়তা, সেখানে লক্ষ্মী নাই, সুতরাং সেখানে ভগবানের প্ৰেম আকৃষ্ট হয় না। উপনন্দ তাহার প্রভুর নিকট হইতে প্রেম পাইয়াছিল, ত্যাগান্ধীকারের দ্বারা প্রতিদানের পথ বাহিয়া সে যতই সেই প্রেমদানের সমান ক্ষেত্রে উঠিতেছে ততই সে মুক্তির আনন্দ উপলব্ধি করিতেছে। দুঃখই তাহাকে এই আনন্দের অধিকারী করে। ঋণের সহিত ঋণশোধের বৈষম্যই বন্ধন এবং তাঁহাই কুগ্ৰীতা । -भांटिनिकउन *द्ध । उानि 9 कऊिँक ४७९७ শারদোৎসবের ভিতরকার ধুয়াে সম্বন্ধে সবুজ পত্রে ‘আমার ধর্ম প্রবন্ধে কবি লিখিয়াছেন— শারদোৎসব থেকে আরম্ভ করে ফাঙ্গুনী পর্যন্ত যতগুলি নাটক লিখেছি, যখন বিশেষ করে মন দিয়ে দেখি তখন দেখতে পাই প্রত্যেকের ভিতরকার ধুয়ােটা ঐ একই। রাজা বেরিয়েছেন সকলের সঙ্গে মিলে শারদোৎসব করবার জন্যে। তিনি খুঁজছেন তার সাথি । পথে দেখলেন ছেলেরা শরৎপ্রকৃতির আনন্দে যোগ দেবার জন্যে উৎসব করতে বেরিয়েছে। কিন্তু একটি ছেলে । ছিল— উপনন্দ-সমস্ত খেলাধুলো ছেড়ে সে তার প্রভুর ঋণ শোধ করবার জন্যে নিভৃতে বসে একমনে কাজ করছিল। রাজা বললেন, তার সত্যকার সাথি মিলেছে, কেননা ঐ ছেলেটির সঙ্গেই শরৎপ্রকৃতির সত্যকার আনন্দের ‘যোগ ; ঐ ছেলেটি দুঃখের সাধনা দিয়ে আনন্দের ঋণ শোধ করছে ; সেই দুঃখেরই রূপ মধুরতম। বিশ্বই যে এই দুঃখ-তপস্যায় রত ; অসীমের যে দান সে নিজের মধ্যে পেয়েছে, অশ্রান্ত প্ৰয়াসের বেদনা দিয়ে সেই দানের সে শোধ করছে। প্ৰত্যেক ঘাসটি নিরলস চেষ্টার দ্বারা আপনাকে প্রকাশ করছে, এই প্ৰকাশ করতে গিয়েই সে । আপন অন্তনিহিত সত্যের ঋণ শোধ করছে। এই-যে নিরন্তর বেদনায় তার আত্মোৎসর্জন, এই দুঃখই তো তার শ্ৰী, এই তো তার উৎসব, এতেই তাে সে শরৎপ্রকৃতিকে সুন্দর করেছে, আনন্দময় করেছে । বাইরে থেকে দেখলে একে খেলা মনে হয়, কিন্তু এ তো খেলা নয়, এর মধ্যে লেশমাত্র বিরাম নেই। যেখানে আপনি সত্যের ঋণশোধে শৈথিল্য সেখানেই প্রকাশে বাধা, সেইখানেই কদৰ্যতা, সেইখানেই নিরানন্দ । আত্মার প্রকাশ আনন্দময়, এইজন্যেই সে দুঃখকে মৃত্যুকে স্বীকার করতে পারে ; ভয়ে কিংবা আলস্যে কিংবা সংশয়ে এই দুঃখের পথকে যে লোক এড়িয়ে চলে জগতে সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। শারদোৎসবের ভিতরকার কথাটাই এই-- ও তো গাছতলায় বসে বসে বঁাশির সুর শোনবার কথা নয়। ] . ቋ । -जबूछ श्रद्ध । आविन 9 कार्डिंक ४७२8 ভানুসিংহের পত্রাবলীতে প্রকাশিত একটি চিঠিতে (২৪ ভাদ্র ১৩২৯) কবি শারদোৎসব ওটা হচ্ছে ছুটির নাটক । ওর সময়ও ছুটির, ওর বিষয়ও ছুটির। রাজা ছুটি নিয়েছে রাজত্ব থেকে, ছেলেরা ছুটি নিয়েছে পাঠশালা থেকে । তাদের আর-কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নেই কেবল একমাত্র হচ্ছে- “বিনা কাজে বাজিয়ে বাঁশি কাটবে সকল বেলা' । ওর মধ্যে একটা উপনন্দ কাজ করছে, কিন্তু সেও তার ঋণ থেকে ছুটি পাবার কাজ । -ভানুসিংহের পত্রাবলী। পত্রসংখ্যা ৫২ ১৩২৯ ভাস্ত্ৰে কলিকাতায় শারদােৎসব-অভিনয়ের সময় উহার একটি ভূমিকা' কবি রচনা काब्रन । अश्लिनग्रनष्ठी शंशठ निरन्न उाश शथाय५ भूङि शंश्ल— t