পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী “জয় রানা রাম সিঙের জয় ।” মহারানার দূত উচ্চে কয় । বৃথা কেন ওঠে হুলুধ্বনি, বৃথা কেন বেজে ওঠে শাখা ! বাধা আঁচল খুলে ফেলে বর, মুখের পানে চাহে পরস্পর এসেছে ওই মৃত্যসভার ডাক ৷” বৃথা এখন ওঠে হুলুধ্বনি, বৃথা এখন বেজে ওঠে শাখ । মলিন মুখে নম্র নতশিরে কন্যা, গোল অন্তঃপুরে ফিরে, হাজার বাতি নিবল ধীরে ধারে—— রাজার সভা হল অন্ধকার । গলায় মালা, টোপরা-পরা শিরে ঘোড়ায় চড়ি ছুটে রাজকুমার । মাতা কেঁদে কাহেন, “বন্ধুবেশ। খুলিয়া ফেলা হয় রে হতভাগী !

  • কেন্দো না মা, ধরি তোমার পায়ে, বধুসজা থাক মা, আমার গায়ে—

মেত্রিপুরে যাইব তার লাগি ।” শুনে মাত কপালে কর হানি কেঁদে কাহেন, ‘হায় রে হতভাগী !” গ্রহবিপ্ৰ আশীর্বাদ করি ধান দূর্ব দিল তাহার মাথে । চড়ে কন্যা চতুৰ্দোলা-’পরে, রঙিন বেশে কিংকরী কিংকরে সারি সারি চলে বালার সাথে । মাতা আসি চুমো খেলেন মুখে, পিতা আসি হস্ত দিলেন মাথে ।