পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጎ¢y রবীন্দ্র-রচনাবলী লক্ষ্মণকে অপমানিত করা হইয়াছে এবং এই অপমান স্বয়ং কবিকৃত অপমান, ধর্মশাস্ত্ৰ অনুসারে এই সকল ভালোমানুষের প্রতি সকলেরই সাধু ব্যবহার করাই উচিত, তবে যে কবি সর্বাঙ্গে কীটের উৎপাত স্তব্ধ হইয়া সহ্য করিয়াছিলেন তিনিও বােধ হয় বিচলিত হইয়া উঠিতেন । আমি অন্য দেশের কবি ও লেখকের গ্রন্থ হইতে কোনো দৃষ্টান্ত উদধূত করিলাম না। কেননা এমন কথা আমাদের দেশে প্রচলিত যে, অন্য দেশের সহিত ভারতবর্ষের কোনো অংশে মিল নাই, সেই অমিলটাকেই প্ৰাণপণে আঁকড়াইয়া থাকা আমাদের ন্যাশনাল সাহিত্যের লক্ষণ অর্থাৎ, ন্যাশনাল সাহিত্য কুপমণ্ডুকের সাহিত্য। -- –2Krå Ib Svsv ని চক্রবর্তকে একটি চিঠিতে (২৯ ফায়ুন ১৩২২) ঘরে-বাইরে সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ খয়াছেন‘প্রমথ চৌধুরী এই গল্পটিকে রূপক বলে ব্যাখ্যা করেছেন, কিন্তু সে বোধ হয় কতকটা লীলাচ্ছলেই করে থাকবেন। এর মধ্যে কোনো জ্ঞানকৃত রূপকের চেষ্টা নেই, এ কেবলমাত্রই গল্প। মানুষের অন্তরের সঙ্গে বাইরের এবং একের সঙ্গে অন্যের ঘাতপ্রতিঘাতে যে হাসিকান্না উচ্ছসিত হয়ে ওঠে এর মধ্যে তারই বর্ণনা আছে। তার চেয়ে বেশি যদি কিছু থাকে সেটা অবান্তর এবং আকস্মিক ৷” ঘরে-বাইরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইবার সময়, সবুজ পত্রে প্রকাশিত অনেক অংশ বর্জিত হয়। পরবর্তী ১৯২০ খৃস্টাব্দের পরিবর্ধিত সংস্করণে এই সকল বর্জিত অংশ পুনরায় গৃহীত হয় । রবীন্দ্র-রচনাবলীতে সেই পাঠই সংকলিত । Վ. সাহিত্য সাহিত্য গদ্যগ্রন্থাবলীর চতুর্থ ভাগ রূপে ১৩১৪ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। সাহিত্য সম্বন্ধে গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত ও অন্য গ্রন্থে প্রকাশিত কয়েকটি প্রবন্ধ রচনাবলীতে সাহিত্যের পরিশিষ্টরূপে সংকলিত । (প্ৰবন্ধগুলির সাময়িক পত্ৰাদিতে প্ৰথম প্রকাশকাল প্ৰবন্ধশেষে মুদ্রিত ।) দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয়ের “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের সমালোচনা ‘ভারতী হইতে এই পরিশিষ্টে মুদ্রিত হইল ; উহার দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হইলে রবীন্দ্রনাথ “বঙ্গদর্শন পত্রে তাহার সমালোচনা করিয়াছিলেন । এই বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ও দীনেশচন্দ্রের মধ্যে যে পত্র-বিনিময় হয় তাহা বিশ্বভারতী-প্রকাশিত চিঠিপত্র ১০ম খণ্ডের অন্তর্গত। সমালোচনাটি মূলগ্রন্থেই সন্নিবিষ্ট আছে— গ্রন্থে প্রবন্ধের যে অংশ বর্জিত তাহা এ স্থলে Q不3和 び団ー বঙ্গভাষা ও সাহিত্য (শেষাংশ) বর্তমান বঙ্গসাহিত্যও হঠাৎ একদিন অভাবনীয় উন্নতির উচ্চশিখরে উঠিবে, এরূপ আশা করি। কখন উঠিবে ? যখন একমাত্র ভাব উচ্ছসিত হইয়া তাহার প্লাবনের দ্বারা নানাকে এক করিয়া দিবে, সকলের হৃদয়কে সকলের সম্মুখে আনিয়া দিবে, কাহারও কাহাকেও বুঝিতে বিলম্ব হইবে না। যখন বিভাগের মধ্যে এককে পাইব, বিচ্ছেদের মধ্যে মিলন পাইব । যখন অনুগ্রহের দ্বারা পীড়িত হইব না, যেখানে আমাদের গীেরব আছে সেই জায়গাটা সন্ধান করিয়া বাহির । করিতে পারিব | যখন আমরা বর্তমানের বন্ধন ছেদন করিয়া তাহার বাহিরে একটা অনন্ত আশার ক্ষেত্র বিস্তৃত দেখিব। এখন ইংরাজের সাহিত্য দর্শন বিজ্ঞান রাষ্ট্ৰতন্ত্র আমাদিগকে চারি দিকে নীরন্ধভাবে বেষ্টন করিয়া আছে, আমরা তাহার বাহিরে কিছুই দেখিতে পাই না। পরের জিনিস আমাদিগকে একেবারে গ্রাস করিয়াছে । যখন কোনো প্ৰতিভাসম্পন্ন মনীষী আসিয়া এই