পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা কে এল রে মেত্রিপুরদ্ধারে ! “থামাও বঁশি কহে, “থামাও বাশি— চতুৰ্দোলা নামাও রে দাসদাসী । দুঃসময়ে কারা এলে দ্বারে ? “বাজাও বাঁশি, ওরে, বাজাও বাশি’ চতুৰ্দোলা হতে বধূ বলে, ‘এবার লগ্ন আর হবে না পাের, আঁচলে গাঠি খুলবে না তো আরশেষের মন্ত্র উচ্চারো এইবার শ্মশান-সভায় দীপ্ত চিন্তানলে |’ “বাজাও বাঁশি, ওরে, বাজাও বাঁশি । চতুৰ্দোলা হতে বধূ বলে । বরের বেশে মোতির মালা গলে আঁচল বাধি রক্তবাসে তারি শিয়ার-’পরে বৈসে রাজকুমারী বরের মাথা কোলের পরে থুয়ে । নিশীথ-রাতে মিলনসজা-পরা মেত্রিপতি চিতার পরে শুয়ে | ঘন ঘন জাগল হুলুধ্বনি, দলে দলে আসে পুরাঙ্গন । গাঁহিছে ভাট ‘ধন্য মৃত্যজিতা, ধু ধূ করে জ্বলে উঠল চিন্তা কন্যা বসে আছেন যোগাসন | জয়ধ্বনি উঠে শ্মশান-মাঝে, Σ Σ কীর্তিক > ○○ と \)