পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা বেলা যায় যায়, ধুধু করে মাঠ, দূরে দূরে চরে ধেনু— তরুতলছায়ে সকরুণ রবে বাজে রাখালের বেণু । পণ করিলাম মনে, প্রভুর দুর্গ শত্রুর করে ছাড়িব না। এ জীবনে । প্রভুর আদেশে সে সত্য হায় ভাঙিতে হবে কি আজ !” এতেক ভাবিয়া ফেলে নিশ্বাস দুৰ্গেশ দুমরাজ । ছাড়িল সমর-সাজ । দুৰ্গেশ দুমরাজ । গেরুয়া-বসনা সন্ধ্যা নামিল পশ্চিম মাঠ-পারে ; থামিল দুৰ্গদ্বারে । “দুয়ারের কাছে কে ওই শয়ান, ওঠে ওঠে, খোলো দ্বার ।” নাহি শোনে কেহ— প্ৰাণহীন দেহ সাড়া নাহি দিল আর | প্রভুর কর্মে বীরের ধর্মে বিরোধ মিটাতে আজ দুগদুয়ারে ত্যজিয়াছে প্ৰাণ দুৰ্গেশ দুমরাজ । অগ্রহায়ণ ১৩০৬ qq