পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাসির কোলের লাগি । জল শুধু জল দেখে দেখে চিত্ত তার হয়েছে বিকল । মসৃণ চিক্কণ কৃষ্ণ কুটিল নিষ্ঠুর, লোলুপ লেলিহজিহব সাপসম ক্রর খল জল ছল-ভরা, তুলি লক্ষ ফণা মৃত্তিকার শিশুদের, লালায়িত মুখ । হে মাটি, হে স্নেহময়ী, অয়ি মৌনমূক, শ্যামলকোমলা, যেথা যে-কেহই থাকে অহরহ, অয়ি মুগ্ধে, কী বিপুল টানে দিগন্তবিস্তৃত তব শান্ত বক্ষ-পানে ! চঞ্চল বালক আসি প্ৰতি ক্ষণে ক্ষণে অধীর উৎসুক কণ্ঠে শুধায় ব্ৰাহ্মণে, “ঠাকুর, কখন আজি আসিবে জোয়ার ?” সহসা স্তিমিত জলে আবেগসঞ্চ3ার দুই কুল চেতাইল আশার সংবাদে । ফিরিল তরীর মুখ, মৃদু আর্তনাদে সিন্ধুর বিজয়রথ পশিল নদীতে— ত্বরিত উত্তর-মুখে খুলে দিল তরী । রাখাল শুধায় আসি ব্ৰাহ্মণের কাছে, সূর্য অস্ত না যাইতে, ক্রোশ দুই ছেড়ে উত্তর-বায়ুর বেগ ক্ৰমে ওঠে। বেড়ে । রূপনারানের মুখে পড়ি বালুচর সংকীর্ণ নদীর পথে বাধিল সমর উত্তাল উদাম । ‘তরণী ভিড়াও তীরে উচ্চকণ্ঠে বারংবার কহে যাত্রীদল । কোথা তীর ? চারি দিকে ক্ষিপ্তোন্মত্ত জল লক্ষ লক্ষ হাতে । আকাশেরে দেয় গালি ফেনিল আক্ৰোশে । এক দিকে যায় দেখা অতিদূর তীর্যপ্রান্তে নীল বনরেখা, ଈ ଧ