পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

དོད) ངེ་ রবীন্দ্র-রচনাবলী অন্য দিকে লুব্ধ ক্ষুব্ধ হিংস্ৰ বারিরাশি উদ্ধান্তবিদ্রোহভরে । নাহি মানে হল, মূঢ়সম । তীব্র শীতপবনের সনে মিশিয়া ত্ৰাসের হিমা নরনারীগণে কঁপাইছে থরহরি ; কেহ হতবাক, কেহ বা ক্ৰন্দন করে ছাড়ি উধৰ্ব্বডাক । ডাকি আত্মজনে । মৈত্র শুষ্ক পাংশুমুখে চক্ষু মুদি করে জপ | জননীর বুকে রাখাল লুকায়ে মুখ কঁাপিছে নীরবে । তখন বিপন্ন মাঝি ডাকি কহে সবে, “বাবারে দিয়েছে ফাকি তোমাদের কেউ— যা মেনেছে দেয় নাই, তাই এত ঢেউ, অসময়ে এ তুফান ! শুন। এই বেলা, ত্রুদ্ধ দেবতার সনে ৷” যার যত ছিল অর্থ বস্ত্ৰ যাহা-কিছু জলে ফেলি দিল না করি বিচার । তবু তখনি পলকে মাঝি কহে পুনর্বার, “ দেবতার ধন কে যায় ফিরায়ে লয়ে এই বেলা শোন ।” ব্ৰাহ্মণ সহসা উঠি কহিলা তখনি মোক্ষাদারে লক্ষ্য করি, “এই সে রমণী। দেবতারে সঁপি দিয়া আপনার ছেলে চুরি করে নিয়ে যায় । “দও তারে ফেলে। এক বাক্যে গর্জি উঠে তরাসে নিষ্ঠুর যাত্রী সবে ! কহে নারী, “ হে দাদাঠাকুর, রক্ষা করো, রক্ষা করো' ! দুই দৃঢ় করে রাখালেরে প্রাণপণে বক্ষে চাপি ধরে } ভৎসিয়া গৰ্জিয়া উঠি কহিলা ব্ৰাহ্মণ, “আমি তোর রক্ষাকর্তা ! রোষে নিশ্চেন্তন মা হয়ে আপন পুত্ৰ দিলি দেবতারে, শেষকালে আমি রক্ষা করিব তাহারে । শোধ দেবতার ঋণ ; সত্য ভঙ্গ করে এতগুলি প্রাণী তুই ডুবাবি সাগরে ৷” মোক্ষদা কহিল, ‘অতি মূখ্য নারী আমি, কী বলেছি রোষবশে— ওগো অন্তর্যামী, সেই সত্য হল ? সে যে মিথ্যা কতদূর তখনি শুনে কি তুমি বোঝ নি। ঠাকুর ?