পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাহিনী “এখনো উঠাতে পারি' করজোড়ে যাচে, “যদি দেখাইয়া দাও কোনখানে আছে।” গুরু কহিলেন, ‘আছে। ওই নদীতলে |’ २१ ऊार्छ >२०¢ দীনদান সাধুশ্রেষ্ঠ নরোত্তম তোমার সোনার দেবালয়ে না লয়ে আশ্রয় আজি পথপ্ৰান্তে তরুচ্ছায়াতলে করিছেন নামসংকীর্তন । ভক্তবৃন্দ দলে দলে ঘোরি তীরে দরদর-উদবেলিত আনন্দধারায় ধৌত ধন্য করিছেন ধরণীর ধূলি । শূন্যপ্রায় দেবাঙ্গন ; ভুঙ্গ যথা স্বর্ণময় মধুভাণ্ড ফেলি। সহসা কমলগন্ধে মত্ত হয়ে দ্রুত পক্ষ মেলি ছুটে যায় গুঞ্জরিয়া উল্মীলিত পদ্ম-উপবনে উন্মুখ পিপাসাভারে, সেইমতো নরনারীগণে যেথায় পথের প্রান্তে ভক্তের হৃদয়পদ্ম ফুটি বিতরিছে স্বগের সৌরভ । রত্নবেদিকার পরে একা দেব। রিক্ত দেবালয়ে ।” শুনি রাজা ক্ষোভভরে সিংহাসন হতে নামি গেলা চলি যেথা তরুচ্ছায়ে সাধু বসি তৃণাসনে ; কহিলেন নমি তার পায়ে, “হেরো প্ৰভু, স্বৰ্ণশীর্ষ নৃপতিনির্মিত নিকেতন দেবতার স্তবগান গাহিতেছ। পথপ্ৰান্তে বসে ?”

  • সে মন্দিরে দেব নাই কহে সাধু ।

‘দেব নাই ! হে সন্ন্যাসী, নাস্তিকের মতো কথা কহ । রত্নসিংহাসন-’পরে দীপিতেছে রতনবিগ্ৰহশূন্য তাহা ?” "শূন্য নয়, রাজদম্ভে পূৰ্ণ সাধুকহে, “আপনায় স্থাপিয়াছ, জগতের দেবতারে নহে ।” ভুকুঞ্চিয়া কহে রাজা, ‘বিংশ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা দিয়া রচিয়াছি অনিন্দিত যে মন্দির অম্বর ভেদিয়া, S6