পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO8 রবীন্দ্র-রচনাবলী কাও দেখে পশুপক্ষী ফুকরে ওঠে ভয়ে, অনন্তু দেব শাস্ত থাকেন ক্ষণিক অপচয়ে । টুটল কত বিজয় তোরণ, লুটল প্রাসাদ চুড়ে, কত রাজার কত গারদ খুলোয় হ’লে গুড়ে। আলিপুরের জেলখানাও মিলিয়ে যাবে যবে তখনে এই বিশ্ব দুলাল ফুলের সবুর সবে । রঙিন কুর্তি, সঙিন মুতি রইবে না কিচ্ছই, তখনে৷ এই বনের কোণে ফুটবে লাজুক জুই । ভাঙবে শিকল টুকরো হয়ে ছিড়বে রাঙা পাগ, চূৰ্ণ করা দৰ্পে মরণ খেলবে হোলির ফাগ । পাগলা আইন লোক হাসাবে কালের প্রহসনে, মধুর আমার বধু রবেন কাব্য-সিংহাসনে । সময়েরে ছিনিয়ে নিলেই হয় সে অসময়, ক্রুদ্ধ প্রভুর সরন। সবুর, প্রেমের সবুর সয় । প্রতাপ যখন চেচিয়ে করে দুঃখ দেবার বড়াই, জেনে মনে, তখন তাহার বিধির সঙ্গে লড়াই। দুঃখ সহার তপস্তাতেই হ’ক বাঙালির জয়, ভয়কে যার মানে তারাই জাগিয়ে রাখে ভয় । মৃত্যুকে বে এড়িয়ে চলে মৃত্যু তারেই টানে, মৃত্যু যার বুক পেতে লয় বাচতে তারাই জানে। পালোয়ানের চেলার সব ওঠে যেদিন খেপে, ফেসে সর্প হিংসা-দপ সকল পৃথী বোপে, বীভৎস তার ক্ষুধার স্বালায় জাগে দানব ভায়, গৰ্জি বলে আমিই সত্য , দেবতা মিখ্য। মায়। , সেদিন যেন কৃপা জামায় করেন ভগবান, মেশীন-গান-এর সম্মুখে গাই জুই ফুলের এই গান ; স্বপ্নসম পরবাসে এলি পাশে কোথা হতে তুই, ও আমার জুই । অজানা ভাষার দেশে সহসা বলিলি এসে, “আমারে চেন কি ?”