পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See ब्रदौढश-ब्रछमांदलौ ফুলওয়ালী। তাই পুজো ? ৰাধে কি দেবতার কাজ হবে ? সঞ্জয় । না, দেবতার হাতে বেড়ি পড়বে। ফুলওয়ালী। তাই পুপবৃষ্টি ? বুঝলুম না। সঞ্জয় । না বোঝাই ভালো। দেবতার ফুল অপাত্রে নষ্ট ক’রো না, ফিরে যাও — শোনে, শোনে, আমাকে তোমার ওই শ্বেতপদ্মটি বেচবে ? ফুলওয়ালী। সাধুকে দেব মনন করে যে ফুল এনেছিলুম সে তো বেচতে পারব না। সঞ্জয়। আমি যে-সাধুকে সব চেয়ে ভক্তি করি তাকেই দেব। ফুলওয়ালী। তবে এই নাও । ন, মূল্য নেব না। বাবাকে আমার প্রণাম জানিয়ে। ব'লে। আমি দেওতলির দুখনী ফুলওয়ালী। [ প্রস্থান বিজয়পালের প্রবেশ সঞ্জয় । দাদা কোথায় ? বিজয়পাল । শিবিরে তিনি বন্দী । সঞ্জয় । যুবরাজ বন্দী ! এ কী স্পধর্ণ । বিজয়পাল । এই দেখো মহারাজের আদেশপত্র । সঞ্জয় । এ কার ষড়যন্ত্র ? তার কাছে আমাকে একবার যেতে দাও । বিজয়পাল । ক্ষমা করবেন। সঞ্জয় । আমাকেও বন্দী করে, আমি বিদ্রোহী । বিজয়পাল । আদেশ নেই । সঞ্জয়। আচ্ছ, আদেশ নিতে এখনই চলুম। ( কিছু দূরে গিয়া ফিরিয়া আসিয়া ) বিজয়পাল, এই পদ্মটি আমার নাম করে দাদাকে দিয়ে। [ উভয়ের প্রস্থান শিবতরাইয়ের বৈরাগী ধনঞ্জয়ের প্রবেশ’ 啤 गंiत्र আমি মারের সাগর পাড়ি দেব বিষম ঝড়ের বায়ে আমার ভয়-ভাঙা এই নায়ে । মাভৈঃ বাণীর ভরসা নিয়ে ছেড়াপালে বুক ফুলিয়ে ১ এই নাটকের পাত্র ধনঞ্জয় ও তাহার কথোপকথনের অনেকটা অংশ "প্রায়শ্চিত্ত” নামক আমার একটি নাটক হইতে লওয়া। সেই নাটক এখন হইতে পনেরো বছরেরও পূর্বে লিখিত।