পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১। মোহনগড়ে তাকে নিয়ে গেছে বঙ্গে কথা উঠেছে । কিন্তু অম্বা পাগলীর কথা শুনে স্পষ্ট বোধ হচ্ছে সে ৰাকে দেখেছে সে আমাদের যুবরাজ—জার তিনি এই পথ क्रिब्रहे खेळरश्न । * H 4 ২ । কিন্তু এই অন্ধকারে তিনি একলা কোথায় যে যাবেন বোঝা যাচ্ছে না। ১ । আলো না হলে আমরা তো এক পা এগোতে পারব না। কোটপালের কাছ থেকে আলো সংগ্রহ করে আনি গে। [ উভয়ের প্রস্থান একজন পথিকের প্রবেশ পথিক ( চীংকার করিয়া)। ওরে বুধ—ন, শঙ্কু—উ। বিপদে ফেললে। আমাকে এগিয়ে দিলে, বললে, চড়াই পথ বেয়ে সোজা এসে আমাকে ধরবে। কারও দেখা নেই । অন্ধকারে ওই কালো যন্ত্রট ইশারা করছে । ভয় লাগিয়ে দিলে। কে আসে ? কে হে ? জবাব দাও না কেন ? বুধন না কি ? ২ পথিক। আমি নিমকু, বাতিওআলা। রাজধানীতে সমস্ত রাত আলো জলবে, বাতির দরকার। তুমি কে ? ১ পথিক । আমি হুব্বা, যাত্রার দলে গান করি । পথের মধ্যে দেখতে পেলে কি আন্দু অধিকারীর দল ? নিমকু। অনেক মানুষ আসছে, কাৰে চিনব ? হুব্বা। অনেক মানুষের মধ্যে তাকে ধ’রে না, আমাদের আন্দু। সে একেবারে । আস্ত একখানি মানুষ—ভিড়ের মধ্যে তাকে খুঁটে বের করতে হয় না—সবাইকে ঠেলে দেখা দেয় । দাদা, তোমার ওই ঝুড়িটার মধ্যে বোধ করি বাতি অনেকগুলো আছে, একখানা দাও না । ঘরের লোকের চেয়ে রাস্তার লোকের আলোর দরকার বেশি। নিম্নকু। দাম কত দেবে ? ; : হুব্বা। দামই যদি দিতে পারতুম তবে তো তোমার সঙ্গে থেকে কথা কইকুম, মিঠে স্থর বের করব কেন ? * t . t " . নিমকু রসিক বট হে। •. . [ প্রস্থান হব্বা। বাতি দিলে না, কিন্তু রসিক বলে চিনে নিলে। সেটা কম কথা নয়। স্বসিকের গুণ এই, ঘোর অন্ধকারেও তাকে চেন ষায় —উ, ৰিরি ভাঙ্কে আকাশটার গা ঝিমঝিম করছে। নাং বাতিওজালার সঙ্গে রসিকতা না করে ভাকাতি করলে কাজে লাগত। ' ' , , .