পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুৱৰী শিলংগিরির বর্ণনা চাও ? আচ্ছা না হয় তাই হবে, উচ্চদরের কাব্যকলা না যদি হয় নাই হবে,— মিল বঁাচাৰ, মেনে যাব মাত্রা দেবার বিধান তো ; তার বেশি আর করলে আশা ঠকবে এবার নিতাস্ত । গমি যখন ছুটল না আর পাখার হাওয়ায় শরবতে, ঠাণ্ডা হতে দৌড়ে এলম শিলঙ নামক পর্বতে । মেঘ-বিছানো শৈলমালা গহন-ছায়া অরণ্যে ক্লাস্ত জনে ডাক দিয়ে কয়, “কোলে আমার শরণ নে । ঝরনা ঝরে কলকলিয়ে মাক বোকা ভঙ্গিতে, বুকের মাঝে কয় কথা যে সোহাগ-ঝরা সংগীতে । বাতাস কেবল ঘুরে বেড়ায় পাইন বনের পল্লবে, নিঃশ্বাসে তার বিষ নাশে আর অবল মাহুষ বল লভে । পাথর-কাট পথ চলেছে বাকে বঁাকে পাক দিয়ে, নতুন নতুন শোভার চমক দেয় দেখা তার ফাক দিয়ে দাৰ্জিলিঙের তুলনাতে ঠাণ্ড হেথায় কম হবে, একটা থদর চাদর হলেই শীত-ভাঙানো সম্ভৰে । চেরাপুঞ্জি কাছেই বটে, নামজাদ তার বৃষ্টিপাত ; মোদের পরে বাদল মেঘের নেই ততদূর দৃষ্টিপাত । এখানে খুব লাগল ভালো গাছের ফণকে চন্দ্রোদয়, অার ভালো এই হাওয়ায় যখন পাইন-পাতার গন্ধ বয় ; বেশ আছি এই বনে বনে, যখন-তখন ফুল তুলি, নাম-না-জানা পাখি নাচে, শিষ দিয়ে যায় বুলবুলি । ভালো লাগে দুপুরবেলায় মন্দমধুর ঠাগুটি, f ভোলায় রে মন দেবদারু-বন গিরিজেবের পণগুণটি । ভালো লাগে আলোছায়ার নানারকম জাক কাটা, দিব্যি দেখায় শৈলবুকে শশু-খেতেৰ থাক কাটা So