পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

صbاوS রবীন্দ্র-রচনাবলী ভালো লাগে রৌদ্র যখন পড়ে মেঘের ফন্দিতে, রবির সাথে ইন্দ্র মেলেন নীল-সোনালির সন্ধিতে । নয় ভালো এই গুখৰ্ণদলের কুচকাওয়াজের কাগুটী, তা ছাড়া ঐ ব্যাঘ্ৰপাইপ নামক বাদ্যভাণ্ডটা । ঘন ঘন বাজায় শিঙা—আকাশ করে সরগরম, গুলিগোলার ধড়ধড়ানি, বুকের মধ্যে থরথরম । আর ভালো নয় মোটরগাড়ির ঘোর বেস্বরে হাক দেওয়া, নিরপরাধ পদাতিকের সর্বদেহে পাক দেওয়া । তা ছাড়া সব পিস্থ মাছি কাশি ইণfচ ইত্যাদি, কখনো বা খাওয়ার দোষে রুখে দাড়ায় পিত্তাদি ; এমনতরো ছোটোখাটো একটা কিংবা অর্ধ টা যংসামান্ত উপদ্রবের নাই বা দিলাম ফর্দটা । দোষ গাইতে চাই যদি তো তাল করা যায় বিন্দুকে ; মোটের উপর শিলঙ ভালোই যাই না বলুক নিন্দুকে । আমার মতে জগৎটাতে ভালোটারই প্রাধান্ত,— মন্দ যদি তিন-চল্লিশ, ভালোর সংখ্যা সাতান্ন । বর্ণনাটা ক্ষান্ত করি, অনেকগুলো কাজ বাকি, আছে চায়ের নেমস্তন্ন, এখনো তার সাজ বাকি । ছড়া কিংবা কাব্য কৰ্ভু লিখবে পরের ফরমাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জেনো নয়কে তেমন শৰ্মা সে । তথাপি এই ছন্দ রচে করেছি কাল নষ্ট তো ; এইখানেতে কারণটি তার বলে রাখি স্পষ্টত,— তোমরা দুজন বয়সেতে ছোটোই হবে বোধ করি, আর আমি তো পরমায়ুর ষাট দিয়েছি শোধ করি তবু আমার পক্ক কেশের লম্ব দাড়ির সন্ত্রমে, আমাকে যে ভয় কর নি দুর্বাসা কি যম ভ্ৰমে, মোর ঠিকানায় পত্র দিতে হয় নি কলম কম্পিত, কবিতাতে লিখতে চিঠি হুকুম এল লম্বিত,