পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भान्जिनिएकछन Հ*ծ এই কারণেই বলছিলুম, সংসারের মধ্যে থেকেই আমরা সংসারের উর্ধ্বে উঠতে পারি—কর্মের মধ্যে থেকেই আমরা কর্মের চেয়ে বড়ে হতে পারি। পরিত্যাগ করে, পলায়ন করে কোনোমতেই তা সম্ভব হয় না। কারণ, আমাদের ষে মুক্তি, সে স্বভাবের দ্বারা হলেই সত্য হয়, অভাবের দ্বারা হলে হয় না। পূর্ণতার দ্বারা হলেই তবে সে সার্থক হয়, শুষ্ঠতার দ্বারা সে শূন্ত ফলই লাভ করে । অতএব যিনি মুক্তস্বরূপ সেই ব্রন্ধের দিকে লক্ষ্য করো। তিনি না-রূপেই মুক্ত নন তিনি ই-রূপেই মুক্ত। তিনি ওঁ ; অর্থাৎ তিনি ই। এইজন্য ব্রহ্মধি তাকে নিক্রিয় বলেন নি, অত্যন্ত স্পষ্ট করেই তাকে সক্রিয় বলেছেন। র্তারা বলেছেন— পরাস্ত শক্তিবিবিধৈব প্রয়তে স্বাভাবিকী জ্ঞানৰলক্রিয় চ। BBB L B BBBBBS BB BDS g D DDDD DD DDS gD DBBDS C DBBBS স্বাভাবিকী । ব্রন্ধের পক্ষে ক্রিয়া হচ্ছে স্বাভাবিক—অর্থাৎ তার স্বভাবেই সেই ক্রিয়ার মূল, বাইরে নয়। তিনি করছেন, তাকে কেউ করাচ্ছে না। এইরূপে তিনি তার কর্মের মধ্যেই মুক্ত—কেননা এই কর্ম তার স্বাভাবিক। আমাদের মধ্যেও কর্মের স্বাভাবিকতা আছে । আমাদের শক্তি, কর্মের মধ্যে উন্মুক্ত হতে চায়। কেবল বাইরের প্রয়োজনবশত নয়, অন্তরের স্ফর্তিবশত । সেই কারণে কর্মেই আমাদের স্বাভাবিক মুক্তি। কর্মেই আমরা বাহির হই প্রকাশ পাই । কিন্তু যাতেই মুক্তি তাতেই বন্ধন ঘটতে পারে। নৌকোর যে গুণ দিয়ে তাকে টেনে নেওয়া যায় সেই গুণ দিয়েই তাকে বাধা যেতে পারে। গুণ যখন তাকে বাইরের দিকে টানে তখনই সে চলে, যখন নিজের দিকেই বেঁধে রাখে তখনই সে পড়ে থাকে । আমাদেরও কর্ম যখন স্বার্থের সংকীর্ণতার মধ্যেই কেবল পাক দিতে থাকে তখন কর্ম ভয়ংকর বন্ধন । তখন আমাদের শক্তি সেই পরাশক্তির বিরুদ্ধে চলে, বিবিধা শক্তির বিরুদ্ধে চলে। তখন সে ভূমার দিকে চলে না, বছর দিকে চলে না, নিজের ক্ষুদ্রতার মধ্যেই আবদ্ধ হয়। তখন এই শক্তিতে আমাদের মুক্তি দেয় না, আনন্দ দেয় না, তার বিপরীতেই আমাদের নিয়ে যায়। যে ব্যক্তি কর্মহীন অলস সেই রুদ্ধ। যে ব্যক্তি ক্ষুদ্রকর্ম স্বার্থপর, জগৎসংসার তার সভ্রম কারাবাস । সে স্বার্থের কারাগারে অহোরাত্র একটা ক্ষুদ্র পরিধির কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে ঘানি টানছে এবং এই পরিশ্রমের ফলকে সে