পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శివ8 影 ब्रवीट्ज़-ब्रघ्ननांवली ষে চিরদিনের মতো আয়ত্ত করে রাখবে এমন সাধ্য তার নেই ; এ তাকে পরিত্যাগ করতেই হয়, তার কেবল পরিশ্রমই সার। ' ' , , অতএব কর্মকে স্বার্থের দিক থেকে পরমার্থের দিকে নিয়ে যাওয়াই মুক্তি—কমত্যাগ ৰূরা মুক্তি নয়। আমরা যে-কোনো কর্মই করি—তা ছোটোই হ’ক জার বড়োই হ’ক সেই পরমাত্মার স্বাভাবিকী বিশ্বক্রিয়ার সঙ্গে তাকে যোগযুক্ত করে দেখলে সেই কর্ম আমাদের আর বদ্ধ করতে পারবে না—সেই কর্ম সত্যকর্ম, মঙ্গলকর্ম এবং আনন্দের কর্ম হয়ে উঠবে। ২৮ পৌষ প্রোণ আত্মত্রীড় আত্মরতি: ক্রিয়াবান এব ব্রহ্মবিদাং বরিষ্ঠ: ব্রহ্মবিদদের মধ্যে র্যার শ্রেষ্ঠ পরমাত্মায় তাদের ক্রীড়া, পরমাত্মায় তাদের আনন্দ এবং তারা ক্রিয়াবান । শুধু তাদের আনন্দ নয়, তাদের কর্মও আছে। এই শ্লোকটির প্রথমাধ ট্রকু তুললেই কথাটার অর্থ স্পষ্টতর হবে। প্রাশোহেৰ বঃ সৰ্বভূতৈর্বিভাতি বিজান বিশ্বান ভবতে নাতিবাদী। এই যিনি প্রাণরূপে সকলের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছেন—একে যিনি জানেন তিনি একে অতিক্রম করে কোনো কখা বলেন না । প্রাণের মধ্যে আনন্দ এবং কর্ম এই দুটো জিনিস একত্র মিলিত হয়ে রয়েছে। প্রাণের সচেষ্টতাতেই প্রাণের আনন্দ—প্রাণের আনন্দেই তার সচেষ্টত । অতএব, ব্রহ্মই যদি সমস্ত স্মৃষ্টির প্রাণস্বরূপ হন, তিনিই যদি স্থষ্টির মধ্যে গতির দ্বার আনন্দ ও আনন্দের দ্বারা গতি সঞ্চার করছেন, তবে যিনি ব্রহ্মবাদী তিনি শুধু ব্ৰহ্মকে নিয়ে আনন্দ করবেন না তো, তিনি ব্রহ্মকে নিয়ে কর্মও করবেন। তিনি যে ব্রহ্মবাদী । তিনি তো শুধু ব্ৰহ্মকে জানেন তা নয়, তিনি যে ব্রহ্মকে বলেন । না বললে তার আনন্দ বাধ মানবে কেন ? তিনি বিশ্বের প্রাণস্বরূপ ব্ৰহ্মকে প্রাণের মধ্যে নিয়ে “ভবতে নাতিবাদী * অর্থাং ব্রহ্মকে বাদ দিয়ে কোনো কথা বলতে চান না—তিনি ব্রহ্মকেই বলতে চান। মানুষ ব্ৰহ্মকে কেমন করে বলে ? সেতারের তার যেমন করে গানকে বলে । সে নিজের সমস্ত গতির দ্বারা, স্পন্দনের দ্বারা, ক্রিয়ার দ্বারাই বলে—সর্বতোভাবে গানকে প্রকাশের দ্বারাই সে নিজের সার্থকতা সাধন করে।