পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QS • ब्रदौअ-ब्रछनांवलौ এই অবজ্ঞার দ্বারা আমরা নিজেকেই বঞ্চিত করি। যাকে আমরা বড়ো করে পেতুম তাকে ছোটো করে পাই, যাতে আমাদের চিত্তও পরিতৃপ্ত হত তাতে আমাদের কেবল পেট ভরে মাত্র । -- র্যারা জলস্থলবাতাসকে কেবল প্রতিদিনের ব্যবহারের দ্বারা জীর্ণ সংকীর্ণ করে দেখেন নি, যারা নিত্য নবীন দৃষ্টি ও উজ্জল জাগ্ৰত চৈতন্যের দ্বারা বিশ্বকে অস্তরের মধ্যে সমাদৃত অতিথির মতো গ্রহণ করেছেন এবং চরাচর সংসারের মাঝখানে জোড়হন্তে দাড়িয়ে উঠে বলেছেন— বে দেৰোহুয়েী, বোহপস্ক, বো বিশ্বং ভূবনমাবিবেশ, ষ ওষধিযু, বে। বনস্পতিৰু তস্মৈ দেবায় নমোনমঃ। তাদের উচ্চারিত এই সজীব মন্ত্রটিকে জীবনের মধ্যে গ্রহণ করে ঈশ্বর যে সর্বব্যাপী এই জ্ঞানকে সর্বত্র সার্থক কaো । যিনি সর্বত্র প্রত্যক্ষ, তার প্রতি তোমার ভক্তি সর্বত্র উচ্ছসিত হয়ে উঠুক । 鼎 বোধশক্তিকে আর অলস রেখে না, দৃষ্টির পশ্চাতে সমস্ত চিত্তকে প্রেরণ করো। দক্ষিণে বামে, অধোতে উধের সম্মুখে পশ্চাতে চেতনার দ্বারা চেতনার স্পৰ্শলাভ করে । তোমার মধ্যে অহোরাত্র যে ধীশক্তি বিকীর্ণ হচ্ছে সেই ধীশক্তির যোগে ভূভুব:স্বলোকে সর্বব্যাপী ধীকে ধ্যান করে—নিজের তুচ্ছতাদ্বারা অগ্নি জলকে তুচ্ছ ক’রে না। সমস্তই আশ্চর্য, সমস্তই পরিপূর্ণ। নমোনমঃ, নমোনমঃ– সর্বত্রই মাথা নত হ’ক হৃদয় নম্র হ’ক এবং আত্মীয়তা প্রসারিত হয়ে যাক । ষাকে বিনামূল্যে পেয়েছ তাকে সচেতন সাধনার মূল্যে লাভ করে, যে অজস্র অক্ষয় সম্পদ বাহিরে রয়েছে তাকে অস্তরে গ্রহণ করে ধন্ত হও । য ওষধিযু, যে বনস্পতিৰু তস্মৈ দেবায় নমোনমঃ–পূর্বছত্রে আছে যিনি অগ্নিতে, জলে, যিনি বিশ্বভুবনে প্রবিষ্ট হয়ে আছেন । তার পরে আছে যিনি ওষধিতে বনস্পতিতে তাকে বারবার নমস্কার করি । হঠাৎ মনে হতে পারে প্রথম ছত্রেই কথাটা নিঃশেষ হয়ে গেছে—তিনি বিশ্বভুবনেই আছেন—তবে কেন শেষের দিকে কথাটাকে এত ছোটো করে ওষধি বনম্পতির নাম করা হল । বস্তুত মাহুষের কাছে এইটেই শেষের কথা । ঈশ্বর বিশ্বভূবনে আছেন একথা বলা শক্ত নয় এবং আমরা অনায়াসেই বলে থাকি, এ-কথা বলতে গেলে আমাদের উপলব্ধিকে অত্যন্ত সত্য করে তোলার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু তার পরেও যে-ঋষি বলেছেন তিনি এই ওষধিতে এই বনস্পতিতে আছেন সে-ঋষি মন্ত্রত্ৰষ্টা। মন্ত্রকে তিনি কেবল মননের