পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○〉8 রবীন্দ্র-রচনাবলী আমি বলছি আমাদের এই উৎসব মানবসমাজের উৎসব। এ-কথা যদি সম্পূর্ণ প্রত্যয়ের সঙ্গে আজ না বলতে পারি তাহলে চিত্তের সংকোচ দূর হবে না; তাহলে এই উৎসবের ঐশ্বৰভাণ্ডার আমাদের কাছে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত হবে না ; আমরা ঠিক জেনে যাব না কিসের যজ্ঞে আমরা আহূত হয়েছি। আমাদের উৎসবকে ব্রহ্মোৎসব বলব কিন্তু ব্রান্ধোৎসব বলব না এই সংকল্প মনে নিয়ে আমি এসেছি ; যিনি সত্যম্ তার আলোকে এই উৎসবকে সমস্ত পৃথিবীতে জাজ প্রসারিত করে দেখৰ ; আমাদের এই প্রাঙ্গণ আজ পৃথিবীর মহাপ্রাঙ্গণ ; এর ক্ষুদ্রতা নেই। একদিন ভারতবর্ষ তার তপোবনে দাড়িয়ে বলেছিলেন— পৃথন্তু বিশ্বে অমৃতস্ত পুত্র। আবে দিব্যধামানি তন্ত্র, . বেদাহমেতং পুরুষং মহাস্তং আদিত্যবর্ণং তমস: পরস্তাৎ । হে অমৃতের পুত্ৰগণ যারা দিব্যধামে আছ সকলে শোনে-জামি জ্যোতির্মর মহান পুরুষকে জেনেছি। প্রদীপ আপনার আলোককে কেবল আপনার মধ্যে গোপন করে রাখতে পারে না । মহাস্তম্ পুরুষং—মহান পুরুষকে মহৎ সত্যকে যার পেয়েছেন তারা আর তো দরজা বন্ধ করে থাকতে পারেন না; এক মুহূর্তেই তারা একেবারে বিশ্বলোকের মাঝখানে এসে দাড়ান ; নিত্যকাল তাদের কণ্ঠকে আশ্রয় করে আপন মহাৰাণী ঘোষণা করেন ; দিব্যধামকে তারা তাদের চারিদিকেই প্রসারিত দেখেন ; আর, যে মানুষের মুখেই দৃষ্টিপাত করেন—সে মূৰ্খই হ’ক আর পণ্ডিতই হক, সে রাজচক্রবর্তী হ’ক আর স্ট্রন দরিত্রই হ'ক—অমৃতের পুত্র বলে তার পরিচয় প্রাপ্ত হন। সেই যেদিন ভারতবর্ষের তপোবনে অনন্ডের বার্তা এসে পৌছেছিল, সেদিন ভারতবর্ষ আপনাকে দিব্যধাম বলে জানতেন, সেদিন তিনি অমৃতের পুত্রদের সভায় অমৃতমন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেন ; সেদিন তিনি বলেছিলেন— BBB BBBB BBBBD DD BB BBBBD DBBD DD BBDD DD DBBD DD शूनं करब्रन ना ।