পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩২

भाखिनिष्कउन n ۹ ژع ঠেকিয়ে রাখা যায় না, কাউকে স্বশ করা যায় না; ধাকে জানলে নি দেশ যেমন জলসকলকে স্বভাবতই আহবান করে, সংবৎসর যেমন মাগসকলকে স্বভাবতই আহবান করে তেমনি স্বভাবত সকলকেই অবাধে জাহান করবার অধিকার জন্মে, তাকেই জেনেছি। ঘরের লোক ক্রুদ্ধ হয়ে ভিতর থেকে গর্জন করে উঠল—দু করে, দূর করে, একে বের করে দাও। এ তে আমার ঘরের সামগ্রী নয় । এ তো আমার নিয়মকে মানবে না। না, এ তোমার ঘরের না, এ তোমার নিয়মের বাধ্য নয় । কিন্তু পারবে ন!— আকাশের আলোককে গায়ের জোর দিয়ে ঠেলে ফেলতে পারবে না। তার সঙ্গে বিরোধ করতে গেলেও তাকে স্বীকার করতে হবে, প্রভাত এসেছে । প্রভাত এসেছে, আমাদের উংসব এই কথা বলছে । আমাদের এই উৎসব ঘরের উংসব নয়, ব্রাহ্মসমাজের উংসব নয়, মানবের চিত্তগগনে ষে প্রভাতের উদয় হচ্ছে এ যে সেই স্থমহং প্রভাতের উৎসব। বহু যুগ পূর্বে এই প্রভাত-উংসবের পবিত্র গষ্ঠীর মন্ত্র এই ভারতবর্ষের তপোবনে ধ্বনিত হয়েছিল—একমেবাদ্বিতীয়ম্। অদ্বিতীয় এক। পৃথিবীর এই পূর্বদিগন্তে আবার কোন জাগ্রত মহাপুরুষ অন্ধকার রাত্রির পরপার হতে সেই মন্ত্র বহন করে এনে স্তন্ধ আকাশের মধ্যে স্পন্দন সঞ্চার করে দিলেন। একমেবাদ্বিতীয়ম্। অদ্বিতীয় এক । এই ষে প্রভাতের মন্ত্র উদয়শিখরের উপরে দাড়িয়ে জানিয়ে দিলে যে, একসূর্য উদয় হচ্ছেন, এবার ছোটে। ছোটো অসংখ্য প্রদীপ নেবাও । এই মন্ত্র কোনো এক-ঘরের মন্ত্র নয়, এই প্রভাত কোনো একটি দেশের প্রভাত নয়—হে পশ্চিম, তুমিও শোনে তুমি জাগ্রত হও । পৃশ্বস্তু বিশ্বে। হে বিশ্ববাসী, সকলে শোনো । পূর্বগগনের প্রাস্তে একটি বাণী জেগে উঠেছে—বেদাহমেতং, আমি জানতে পারছি । তমস: পরস্তাৎ, অন্ধকারের পরপর থেকে আমি জানতে পারছি । নিশাবসানের আকাশ উজয়োম্মুখ আদিত্যের আসন্ন আবির্ভাবকে যেমন করে জানতে পারে তেমনি করে— * ৰেদাহমেতং পুরুৰং মহাজং আদিত্যৰৰ্ণং তমস: পরস্তাৎ । এই নূতন যুগে পৃথিবীর মানবচিত্তে ষে প্রভাত আসছে সেই নব প্রভাতের বার্তা বাংলাদেশে আজ আশি বংসর হল প্রথম এসে উপস্থিত হয়েছিল। তখন পৃথিবীতে দেশের সঙ্গে দেশের বিরোধ, ধর্মের সঙ্গে ধর্মের সংগ্রাম ; তখন শাস্ত্রবাক্য এবং বাহ প্রথার লৌহসিংহাসনে বিভাগই ছিল রাজা—সেই ভেদবুদ্ধির প্রাচীরকন্তু অন্ধকারের মধ্যে রাজা রামমোহন যখন অদ্বিতীয় একের আলোক তুলে ধরলেন তখন তিনি দেখতে, পেলেন যে, যে ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমান ও ইস্টানধৰ্ম আজ একত্র সমাগত হয়েছে সেই ভারতবর্ষেই বহু পূর্ব যুগে এই বিচিত্র অতিথিদের একসভায় বলাবার জন্তে আয়োজন