পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী চঞ্চল মুহূর্ত যত অন্ধকারে দুঃসহ নৈরাশে নিবিড় নিবদ্ধ হয়ে তপস্তার নিরুদ্ধ নিঃশ্বাসে শাস্ত হয়ে আসে । الي জানি জানি, এ তপস্থত। দীর্ঘরাত্রি করিছে সন্ধান চঞ্চলের নৃত্যস্রোতে আপন উন্মত্ত অবসান দুরন্ত উল্লাসে । বন্দী যৌবনের দিন আবার শৃঙ্খলহীন বারে বারে বাহিরিবে ব্যগ্র বেগে উচ্চ কলোচ্ছ্বাসে । বিদ্রোহী নবীন বীর, স্থবিরের শাসন-নাশন, বারে বারে দেখা দিবে ; অামি রচি তারি সিংহাসন,

  • তারি সম্ভাষণ ।

তপোভঙ্গ-দূত আমি মহেন্দ্রের, হে রুত্ৰ সন্ন্যাসী, স্বর্গের চক্রাস্ত আমি । আমি কবি যুগে যুগে আসি তব তপোবনে । দুৰ্জয়ের জয়মালা পূর্ণ করে মোর ডালা, উদ্দামের উতরোল বাজে মোর ছন্দের ক্রন্দনে । ব্যথার প্রলাপে মোর গোলাপে গোলাপে জাগে বাণী, কিশলয়ে কিশলয়ে কৌতুহল-কোলাহল আনি’ I মোর গান হানি । হে শুষ্ক বল্কলধারী বৈরাগী, ছলনা জানি সব, স্বন্দরের হাতে চাও আনন্দে একান্ত পরাভব ছদ্মরপবেশে । বারে বারে পঞ্চশরে অগ্নিতেজে দগ্ধ করে দ্বিগুণ উজ্জল করি’ বারে বারে বঁাচাইবে শেষে ।