পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

罩 n so শান্তিনিকেতন । eஇது 蜘 তাকেই আমরা সত্য বলে তারই কাছে আমরা সমস্ত আত্মসমর্পণ করেছিলুম, আমাদের তখন বাহিরকে নিঃশেষে নিরস্ত করে দিয়ে আমরা অন্তরেই বাসা ৰাধবার চেষ্টা করলুম। ষে-ৰাহিরকে একদিন রাজা বলে মেলেছিলুম তাৰে কঠোর যুদ্ধে পরাস্ত করে দিয়ে ভিতরকেই জয়ী ৰলে প্রচার করলুম। ষে-প্রবৃত্তিগুলি এতদিন বাহিরের পেয়াদা হয়ে আমাদের সর্বদাই বাহিরের তাগিদেই ঘুরিয়ে মেরেছিল তাদের জেলে দিয়ে শূলে চড়িয়ে ফালি দিয়ে একেবারে নিমূল করবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত হলুষ। ৰে সমস্ত কষ্ট ও অভাবের ভয় দেখিয়ে বাহির আমাদের দাসত্বের শৃঙ্খল পরিয়েছিল সেই সকল কষ্ট ও অভাবকে আমরা একেবারে তুচ্ছ করে দিলুম। রাজস্থয় যজ্ঞ করে উত্তরে দক্ষিণে পূর্বে পশ্চিমে বাহিরের সমস্ত দোদ গুপ্ৰতাপ বাজাকে হার যানিয়ে জয়পতাকা জামাদের অন্তর-রাজধানীর উচ্চ প্রাসাদ-চুড়ায় উড়িয়ে দিলুম। ৰাসনার পায়ে শিৰল পরিয়ে দিলুম। মুখ-দুঃখকে কড়া পাহারায় রাখলুম, পূর্বতন রাজত্বকে আগাগোড়া বিপর্যন্ত করে তবে ছাড়লুম। এমনি করে বাহিরের একান্ত প্রভূত্বকে খর্ব করে যখন জামাদের অন্তরে প্রতিষ্ঠালাভ করলুম তখন অন্তরতম গুহার মধ্যে এ কী দেখি ? এ তো জয়গর্ব নয়। এ তো কেবল আত্মশাসনের অতি-বিস্তারিত স্থব্যবস্থা নয় । বাহিরের বন্ধনের স্থানে এ তে, কেবল অস্তরের নিয়ম-বন্ধন নয় । শাস্তদান্ত সমাহিত নির্মল চিদাকাশে এমন আনন্দজ্যোতি দেখলুম যা অন্তর এবং বাছির উভয়কেই উদ্ভাসিত করেছে, অন্তরের নিগৃঢ় কেন্দ্র থেকে নিখিল বিশ্বের অভিমূখে যার মঙ্গলরশ্মিরাজি বিচ্ছুরিত হচ্ছে। তখন ভিতর বাহিরের সমস্ত খৰ দূর হয়ে গেল। তখন জয় নয় তখন আনন্দ, তখন সংগ্রাম নয় তখন লীলা, তখন ভেদ নয় তখন মিলন, তখন আমি নয় তখন সব —তখন বাহিরও নয়, ভিতরও নয়, তখন ব্ৰহ্ম—ভচ্ছত্ৰং জ্যোতিষাং জ্যোতিঃ । তখন আত্মা পরমাত্মার পরম মিলনে বিশ্বজগং সম্মিলিত । তখন স্বার্থবিহীন করুশ, ঔদ্ধত্যবিহীন ক্ষম, অহংকারবিহীন প্রেম—তখন জ্ঞানভক্তিকর্মে বিচ্ছেদবিহীন পরিপূর্ণত । 4 מסיל הסiיא • צ ர் :