পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী বারে বারে তারি তুণ সম্মোহনে ভরি দিব ব’লে অামি কবি সংগীতের ইন্দ্রজাল নিয়ে আসি চলে । মৃত্তিকার কোলে । জানি জানি, বারংবার প্রেয়সীর পীড়িত প্রার্থনা শুনিয়া জাগিতে চাও আচম্বিতে, ওগো অন্তমনা, নূতন উৎসাহে । তাই তুমি ধ্যানচ্ছলে বিলীন বিরহতলে, উমাকে কাদাতে চাও বিচ্ছেদের দীপ্তদুঃখদাহে । ভগ্ন তপস্তার পরে মিলনের বিচিত্র সে ছবি দেখি আমি যুগে যুগে, বীণাতন্ত্রে বাজাই ভৈরবী, অামি সেই কবি । অামারে চেনে না তব শ্মশানের বৈরাগ্যবিলাসী, দারিদ্র্যের উগ্র দপে খলখল ওঠে অট্টহাসি দেখে মোর সাজ । হেনকালে মধুমাসে মিলনের লগ্ন আসে, উমার কপোলে লাগে স্মিতহাতে-বিকশিত লাজ । সেদিন কবিরে ডাকো বিবাহের ষাত্ৰাপথতলে, পুষ্পমাল্যমাঙ্গল্যের সাজি লয়ে, সপ্তর্ষির দলে কবি সঙ্গে চলে । ভৈরব, সেদিন তব প্রেতসঙ্গিদল রক্ত-উমাখি দেখে তব শুভ্রতস্থ রক্তাংশুকে রহিয়াছে ঢাকি, প্রাতঃস্থৰ্ষরুচি । অস্থিমালা গেছে খুলে মাধবীবল্লরীমূলে, ఇt