পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्राछित्रिप्टक७म ©86 আমাদের প্রভাতের সঞ্চয়কে সেই সময়েই যদি কোনো কাজে লাগাতে না পারি, সে যদি দেবত্র সম্পত্তির মতো মন্দিরেরই পুজাচনার কাজে নিযুক্ত থাকে,সংসারের প্রয়োজনে তাকে খাটাবার জো না থাকে —তাহলে কোনো কাজ হল না । দিনের মধ্যে এক-একটা সময় আছে যে সময়টা অত্যন্ত নীরস অত্যন্ত অক্ষুদার । যে সময়ে ভূম সকলের চেয়ে প্রচ্ছন্ন থাকেন—যে সময়ে, হয় আমরা একান্তই আপিসের জীব হয়ে উঠি, নয়তো আহার-পরিপাকের জড়তায় আমাদের অন্তরাত্মার উজ্জলতা অত্যন্ত মান হয়ে আসে, সেই শুষ্কতা ও জড়ত্বের আবেশকালে তুচ্ছতাঁর আক্রমণকে আমরা যেন প্রশ্রয় না দিই—আত্মার মহিমাকে তখনও যেন প্রত্যক্ষগোচর করে রাখি । যেন তখনই মনে পড়ে আমরা দাড়িয়ে আছি ভূভূব:স্বলোকে, মনে পড়ে যে অনন্ত চৈতন্তস্বরূপ এই মুহূর্তে আমাদের অন্তরে চৈতন্য বিকীর্ণ করছেন, মনে পড়ে যে সেই শুদ্ধং অপাপবিদ্ধং এই মুহূর্তে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন। সমস্ত হাস্তালাপ, সমস্ত কাজকর্ম, সমস্ত চাঞ্চল্যের অন্তরতম মূলে যেন একটি অবিচলিত পরিপূর্ণতার উপলব্ধি কখনো না সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তাই বলে একথা যেন কেউ না মনে করেন যে, সংসারের সমস্ত হাসিগল্প সমস্ত আমোদ-আহ্লাদকে একেবারে বিসর্জন দেওয়াই সাধনা। ষার সঙ্গে আমাদের যেটুকু স্বাভাবিক সম্বন্ধ আছে তাকে রক্ষা না করলেই সে আমাদের অস্বাভাবিক রকম করে পেয়ে বসে —ত্যাগ করবার কৃত্রিম চেষ্টাতেই ফাস আরও বেশি করে আট হয়ে ওঠে । স্ব ভাবত যে জিনিসটা বাইরের ক্ষণিক জিনিস, ত্যাগের চেষ্টায় অনেক সময় সেইটাই আমাদের অন্তরের ধ্যানের সামগ্রী হয়ে দাড়ায় । ত্যাগ করব না, রক্ষা করব, কিন্তু ঠিক জায়গায় রক্ষা করব। ছোটোকে বড়ো করে ভুলব না, শ্রেয়কে প্রেমের আসনে বলতে দেব না এবং সকল সময়ে সকল কর্মেই অন্তরের গৃঢ় কক্ষের আচল দরবারে উপাসনাকে চলতে দেব। তিনি নেই এমন কথাটাকে কোনো সময়েই কোনোমতেই মনকে বুঝতে দেব নী—কেননা সেটা একেবারেই মিথ্যা কথা । প্রভাতে একান্ত ভক্তিতে তার চরণের ধূলি মনের ভিতরে তুলে নিয়ে ধাও—সেই আমাদের পরশয়তন । আমাদের হাসিখেলা আমাদের কাজকর্ম আমাদের বিষয় আশয় যা কিছু আছে তার উপর সেই ভক্তি ঠেকিয়ে দাও। আপনিই সমস্ত বড়ো হয়ে উঠবে, সমস্ত পবিত্র হয়ে উঠবে, সমস্তই তার সম্মুখে উংসর্গ করে দেবার যোগ্য হয়ে দাড়াৰে । i is so »२ कांस्तुन