পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లts রবীন্দ্র-রচনাবলী তখন তার পদগুলি সমগ্রের উপলব্ধিতে আমাদের বাধা না দিয়ে সহায়তা করে বলেই আমাদের কাছে বড়োই মূল্যবান হয়ে ওঠে। তেমনি বৈরাগ্যে যখন স্বাতন্ত্র্যের মোহ কাটিয়ে ভূমার মধ্যে আমাদের মহাসত্যের পরিচয় সাধন করিয়ে দেয়, তখন সেই বৃহৎ পরিচয়ের ভিতর দিয়ে ফিরে এসে প্রত্যেক স্বাতন্ত্র্য সেই ভূমার রসে রসপরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। একদিন যাদের বানান করে পড়তে হচ্ছিল, যারা পদে পদে আমাদের পথরোধ করছিল, তারা প্রত্যেকে সেই ভূমার প্রতিই আমাদের বহন করে, রোধ করে না । তখন যে আনন্দ সেই আনন্দই প্রেম । সেই প্রেমে বেঁধে রাখে ন+-সেই প্রেমে টেনে নিয়ে যায়। নির্মল নির্বাধ প্রেম। সেই প্রেমই মুক্তি—সমস্ত আসক্তির মৃত্যু। এই মৃত্যুরই সংকারমন্ত্র হচ্ছে— মধুবাত। ঋতীয়তে মধু ক্ষরস্তি সিন্ধবঃ भांशौब६ मरखांषशोः । মধু নক্ত উতোৰসে মধুমৎ পার্থিবং রজঃ মধুমান্নো বনস্পতির্মধূমাং অন্ত স্বর্য । बाबू भधू बश्न कब्रप्इ, नौनिकूनकण भधू ऋद्रन कब्राह । ७षषि दनन्नउि नकल अधूमब्र इ'क, ब्राजि अधू হক, উৰা মধু হক, পৃথিবীর ধূলি মধুমৎ হক, স্বর্য মধুমান হক। যখন আসক্তির বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেছে তখন জলস্থল-আকাশ, জড়জন্তু মচুন্য সমস্তই অমৃতে পরিপূর্ণ—তখন আনন্দের অবধি নেই। আসক্তি আমাদের চিত্তকে বিষয়ে আবদ্ধ করে । চিত্ত যখন সেই বিষয়ের ভিতরে বিষয়াতীত সত্যকে লাভ করে তখন প্রজাপতি যেমন গুটি কেটে বের হয় তেমনি সে বৈরাগ্য দ্বারা আসক্তি বন্ধন ছিন্ন করে ফেলে। আসক্তি ছিন্ন হয়ে গেলেই পূর্ণ স্বন্দর প্ৰেম আনন্দরূপে সর্বত্রই প্রকাশ পায়। তখন, আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি—এই মন্ত্রের অর্থ বুঝতে পারি। যা-কিছু প্রকাশ পাচ্ছে সমস্তই সেই আনন্দরূপ সেই অমৃতরূপ। কোনো বস্তুই তখন আমি প্রকাশ হচ্ছি বলে আর অহংকার করে না প্রকাশ হচ্ছেন কেবল আনন্দ কেবল আনন্দ । সেই প্রকাশের মৃত্যু নেই। মৃত্যু অন্য সমস্তের কিন্তু সেই প্রকাশই অমৃত । ১৫ ফাল্গুন ১৩১৫