পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গতি—অর্থাৎ তার মধ্যে নিত্যতার লক্ষণ লেই—তার মধ্যে বিকার আসে এবং ক্রমে श्रृङ्घ प्नथो नग्न । ও সমস্ত চাতুর ছেড়ে দিয়ে ঈশ্বরকে সম্পূর্ণই আত্মসমর্পণ করতে হবে এই কথা টাকেই পাকা করা যাক। আমার দুইয়ে কাজ নেই আমার একই ভালো। আমার অন্তরাত্মার মধ্যে, একটি সতীর লক্ষণ আছে, সে চতুরা নয়, লে যথার্থই দুইকে চায় না, . সে এককেই চায় ; যখন সে এককে পায় তখনই সে সমস্তকেই পায় । একাগ্র হয়ে সেই একের সাধনাই করব কিন্তু কঠিন সংকট এই যে, আজ পর্যন্ত সে জন্তে কোনো আয়োজন করা হয় নি। সেই পরমকে বাদ দিয়েই সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে । জীবন এমনি ভাবে তৈরি হয়ে গেছে যে, কোনোমতে ঠেলে ঠুলে.র্তাকে জায়গা করে দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে এসেছে । পৃথিবীতে আর সমস্তই গোজামিলন দেওয়া যায়, যেখানে পাচজলের বন্দোবস্ত সেখানে ছজনকে ঢুকিয়ে দেওয়া খুব বেশি শক্ত নয়, কিন্তু তার সম্বন্ধে সেরকম গোজমিলন চালাতে গেলে একেবারেই চলে না । তিনি “পুনশ্চ নিবেদনের” সামগ্রী নন। র্তার কথা যদি গোড়া থেকে ভূলেই থাকি তবে গোড়াগুড়ি সে ভুলটা সংশোধন না করে নিলে উপায় নেই । যা হয়ে গেছে তা হয়ে গেছে এখন আমনি এক রকম করে কাজ সেরে নেও এ-কথা তার সম্বন্ধে কোনোমতেই খাটবে না । ঈশ্বর-বিবর্জিত যে জীবনটা গড়ে তুলেছি তার আকর্ষণ যে কত প্রবল তা তখনই বুঝতে পারি যখন তার দিকে যেতে চাই । যখন তার মধ্যেই বসে আছি তখন সে ষে । আমাকে বেঁধেছে তা বুঝতেই পারি নে। কিন্তু প্রত্যেক অভ্যাস প্রত্যেক সংস্কারটিই কী কঠিন গ্রন্থি । জ্ঞানে তাকে যতই তুচ্ছ বলে জানি নে কেন, কাজে তাকে ছাড়াতে পারি নে। একটা ছাড়ে তো দেখতে পাই তার পিছনে আরও পাচটা আছে। ংসারকে চরম আশ্রয় বলে জেনে এতদিন বহুধত্বে দিনে দিনে একটি একটি করে অনেক জিনিস সংগ্রহ করেছি—তাদের প্রত্যেকটির ফাকে ফঁাকে আমার কত শিকড় জড়িয়ে গেছে তার ঠিকানা নেই—তারা সবাই আমার । তাদের কোনোটাকেই একটুমাত্র স্থানচ্যুত করতে গেলেই মনে হয় তবে আমি বঁচিব কী করে। তারা যে বঁাচার জিনিস নয় তা বেশ জানি তৰু চিরজীবনের সংস্কার তাদের প্রাণপণে অঁাকড়ে ধরে বলতে থাকে এদের না হলে আমার চলবে না ষে । ধনকে আপনার বলে জানা যে নিতান্তুই অভ্যাস হয়ে গেছে। সেই ধনের ঠিক ওজনটি ৰে আজ বুঝব সে শক্তি কোথায় পাই । বহুদীর্ঘকাল ধরে আমির ভারে সেই ধন যে পর্বতসমান ভারি হয়ে উঠেছে, তাকে একটুও নড়াতে গেলে ষে বুকের পাজরে বেদন ধৰে।