পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন wmዓ«: তরী বোঝাই সোনার তরী বলে একটা কবিতা লিখেছিলুম এই উপলক্ষ্যে তার একটা মানে বলা যেতে পারে । n মাহুষ সমস্ত জীবন ধরে ফসল চাষ করছে। তার জীবনের খেতটুকু দ্বীপের মতে, চারিদিকেই অবাক্তের দ্বারা সে বেষ্টিত, ওই একটুখানিই তার কাছে ব্যক্ত হয়ে আছে। সেইজন্তে গীতা বলেছেন— ! իր त्रवाखांप्नोनि छूठांनि बाख्मषानि उब्रठ অব্যক্তনিধনাস্তেব তত্র কী পরিবেদন । যখন কাল ঘনিয়ে আসছে, যখন চারিদিকের জল বেড়ে উঠছে, যখন আবার অব্যক্তের মধ্যে তার ওই চরটুকু তলিয়ে যাবার সময় হল—তখন তার সমস্ত জীবনের কর্মের যা কিছু নিত্য ফল তা সে ওই সংসারের তরণীতে বোঝাই করে দিতে পারে। সংসার সমস্তই নেবে, একটি কণাও ফেলে দেবে না। কিন্তু যখন মানুষ বলে ওই সঙ্গে আমাকেও নাও আমাকেও রাখো, তখন সংসার বলে তোমার জন্তে জায়গা কোথায় ? তোমাকে নিয়ে আমার হবে কী ? তোমার জীবনের ফসল যা কিছু রাখবার তা সমস্তই রাখব কিন্তু তুমি তো রাখবার যোগ্য নও। প্রত্যেক মানুষ জীবনের কর্মের দ্বার সংসারকে কিছু-না কিছু দান করছে, সংসার তার সমস্তই গ্রহণ করছে, রক্ষা করছে, কিছুই নষ্ট হতে দিচ্ছে না—কিন্তু মানুষ যখন সেই সঙ্গে অহংকেই চিরন্তন করে রাখতে চাচ্ছে তখন তার চেষ্টা বৃথা হচ্ছে। এই যে জীবনটি ভোগ করা গেল অহংটকেই তার খাজনাস্বরূপ মৃত্যুর হাতে দিয়ে হিসাব চুকিয়ে যেতে হবে। ওটি কোনোমতেই জমাবার জিনিস নয়। ৪ চৈত্র আমাদের জীবনের একটিমাত্র সাধন এই যে, আমাদের আত্মার যা স্বভাব সেই স্বভাবটিকেই যেন বাধামুক্ত করে তুলি । । . আত্মার স্বভাব কী ? পরমাত্মার বা স্বভাব আত্মারও স্বভাৰ তাই। পরমাত্মার স্বভাব কী ? তিনি গ্রহণ করেন না, তিনি দান করেন। i »8|२६ .*