পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১০

শান্তিনিকেতন । + తీst আর এক মহাপুরুষ ধিনি র্তার পিতার মহিম। প্রচার করতে জগতে এসেছিলেন, তিনি বলেছেন, তোমার পিত। ষেরকম সম্পূর্ণ ভূমি তেমনি সম্পূর্ণ হও । এ-কথাটিও ছোটাে কথা নয়। মানবাত্মার সম্পূর্ণতার জাদর্শকে তিনি পরমাত্মার মধ্যে স্থাপন করে সেইদিকেই আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে বলেছেন । সেই সম্পূর্ণতার মধ্যেই আমাদের ব্রহ্মবিহার, কোনো ক্ষুদ্র সীমার মধ্যে নয়। পিঙ্গ যেমন সম্পূর্ণ, পুত্ৰ তেমনি সম্পূর্ণ হতে নিয়ত চেষ্টা করবে। এ না হলে পিতাপুত্ৰে সত্যযোগ হবে কেমন করে । mł এই সম্পূর্ণতার যে একটি লক্ষণ নির্দেশ করেছেন সেও বড়ো কম নয়। যেমন বলেছেন তোমার প্রতিবেশীকে তোমার আপনার মতো ভালোবাসো । কথাটাকে লেশমাত্র খাটো করে বলেন লি । বলেন নি যে প্রতিবেশীকে ভালোবাসে ; বলেছেন, প্রতিবেশীকে আপনারই মতো ভালোবাসো । ধিনি ব্রহ্মবিহার কামনা করেন তাকে এই ভালোবাসায় গিয়ে পৌছোতে হবে-এই পথেই তাকে চল চাই । * ভগবান যিশু বলেছেন, শক্রকেও প্রীতি করবে। শক্রকে ক্ষমা করবে বলে ভয়ে ভয়ে মাঝপথে থেমে যান নি। শক্রকে প্রীতি করবে বলে তিনি ব্রহ্মবিহার পর্যন্ত লক্ষ্যকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন । বলেছেন, যে তোমার গায়ের জামা কেড়ে নেয় তাকে তোমার উত্তরীয় পর্যন্ত দান করো। সংসারী লোকের পক্ষে এগুলি একেবারে অত্যুক্তি । তার কারণ, সংসারের চেয়ে বড়ো লক্ষ্যকে সে মনের সঙ্গে বিশ্বাস করে না। সংসারকে সে তার জামা ছেড়ে উত্তরীয় পর্যন্ত দিয়ে ফেলতে পারে যদি তাতে তার সাংসারিক প্রয়োজন সিদ্ধ হয় । কিন্তু ব্রহ্মবিহারকে সে যদি প্রয়োজনের চেয়ে ছোটো বলে জানে তবে জামাটুকু দেওয়াও শক্ত হয় । 蠱 কিন্তু ধারা জীবের কাছে সেই ব্ৰহ্মকে সেই সকলের চেয়ে বড়োকেই ঘোষণা করতে এসেছেন তার তো সংসারী লোকের দুর্বল বাসনার মাপে ব্ৰহ্মকে অতি ছোটাে করে দেখাতে চান নি। তারা সকলের চেয়ে বড়ো কথাকেই অসংকোচে একেবারে শেষ পর্যন্ত বলেছেন । t এই বড়ো কথাকে এত বড়ো করে বলার দরুনষ্ঠার। আমাদের একটা মস্ত ভরসা দিয়েছেন। এর দ্বারা তারা প্রকাশ করেছেন मश्रजब अंछि ७ठवूब পর্যন্তই যায়, তার প্রেম এত বড়োই প্রেম, তার ভ্যাগ এত বড়োই আগ । $ * *