পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्लाक्लिनिरकउन 85% मांप्क बरकरह जांवहन कछ नष्ठ कङ कण्ठा তাই কেঁদে ফিরি, তাই তোমারে না পাই भन्न cषक दान्न ठारे cश् बनिद्र cबनन । আমাদের যত দুঃখ যত বেদন সে কেবল আপনাকে ঘোচাতে পারছিনে বলেই—সেইটে ঘুচলেই যে তৎক্ষণাং দেখতে পাব আমার সকল পাওয়াকে চিরকালই পেয়ে বসে আছি । উপনিষৎ বলেছেন, ব্ৰহ্ম তল্লক্ষ্য মুচ্যতে—ব্রক্ষকেই লক্ষ্য বলা হয়। এই লক্ষ্যটি কিসের জন্তে ? কিছুকে আহরণ করে নিজের দিকে টানবার জন্তে নয়—নিজেকে একেবারে হারাবার জন্তে। শরবং তন্ময়ো ভবেৎ। শর যেমন লক্ষ্যের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রবেশ করে তন্ময় হয়ে যায় তেমনি করে তার মধ্যে একেবারে আচ্ছন্ন হয়ে যেতে হবে । এই তন্ময় হয়ে যাওয়াটা কেবল যে একটা ধ্যানের ব্যাপার আমি তা মনে করি নে । এটা হচ্ছে সমস্ত জীবনেরই ব্যাপার । সকল অবস্থায়, সকল চিস্তায়, সকল কাজে এই উপলব্ধি যেন মনের এক জায়গায় থাকে যে, আমি তার মধ্যেই আছি ; কোথাও বিচ্ছেদ নেই। এই জ্ঞানটি যেন মনের মধ্যে প্রতিদিনই ক্রমে ক্রমে একান্ত সহজ হয়ে আসে যে, কোহেবাথ্যাংক: প্রাণ্যাং যদেষ আকাশ আনন্দো ন স্যাং । আমার শরীর মনের তুচ্ছতম চেষ্টাটিও থাকত না যদি আকাশপরিপূর্ণ আনন্দ না থাকতেন, তারই আনন্দ, শক্তিরূপে ছোটো বড়ো সমস্ত ক্রিয়াকেই চেষ্টা দান করছে । আমি আছি তারই মধ্যে, আমি করছি তারই শক্তিতে এবং আমি ভোগ করছি তারই দানে এই জ্ঞানটিকে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো সহজ করে তুলতে হবে এই আমাদের সাধনার লক্ষ্য। এই হলেই জগতে আমাদের থাকা করা এবং ভোগ, আমাদের সত্য মঙ্গল এবং সুখ সমস্তই সহজ হয়ে যাবে—কেননা যিনি স্বয়স্থ, যার জ্ঞান শক্তি ও কর্ম স্বাভাবিক তার সঙ্গে আমাদের যোগকে আমরা চেতনার মধ্যে প্রাপ্ত হব । এইটি পাওয়ার জন্তেই আমাদের সকল চাওয়া । ১৮ চৈত্র সমগ্র এক পরমাত্মার মধ্যে আত্মাকে এইরূপ যোগযুক্ত করে উপলদ্ধি করা এ কি কেবল জ্ঞানের দ্বারা হবে ? তা কখনোই না - এতে প্রেমেরও প্রয়োজন । কেননা আমাদের জ্ঞান যেমন সমস্ত খণ্ডতার মধ্যে সেই এক পরম সত্যকে চাচ্ছে তেমনি আমাদের প্রেমও সমস্ত ক্ষুদ্র রসের ভিতরে সেই সকল রসের রসতমকে সেই পরমানন্দস্বরূপকে চাচ্ছে—নইলে তার তৃপ্তি নেই। :