পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांछिनिद्रकङन ፀ:ኔ অতএব তিনি দুরূহ তত্ত্বকথা নন তিনি অত্যন্ত আপন। সৰল আপনের মধ্যেই তিনি একমাত্র চিরন্তন অখণ্ড আপন। গাছের ফলকে তিনি ষে কেবল একটি সত্যরূপে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছেন তা নয়, স্বাদে গন্ধে শোভায় তিনি বিশেষরূপে তাকে আমার আপন করে রেখেছেন। তিনিই আমার আপন বলে ফলকে নানা রসে আমার আপন করেছেন, নইলে ফলনামক সত্যটিকে আমি কোনোদিক থেকেই কোনো রকমেই এতটুকুও নাগাল পেতুম না। . কিন্তু আপন যে কতদূর পর্যন্ত যায়, কত গভীরতা পর্যন্ত, তা তিনি মানুষের সম্বন্ধে মানুষকে দেখিয়েছেন—শরীর মন হৃদয় সর্বত্র তার প্রবেশ, কোথাও তার বিচ্ছেদ নেই, বিরহ এবং মৃত্যুও তাকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। সেইজন্যে মানুষের এই সম্বন্ধগুলির মধ্য দিয়েই আমরা কতকটা উপলব্ধি করতে পারি, নিখিল ব্ৰহ্মাণ্ডে যিনি আমাদের নিত্যকালের আপন তিনি আমাদের কী ? সেই তিনি তাকে সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্ৰহ্ম বলে আমাদের শেষ কথা বলা হয় না । তার চেয়ে চরমতর অন্তরতর কথা হচ্ছে, তুমি আমার আপন, তুমি আমার মাত, আমার পিতা, আমার বন্ধু, আমার প্রভু, আমার বিদ্যা, আমার ধন, ত্বমেব সৰ্বং মম দেবদেব । তুমি আমার এবং আমি তোমার, তোমাতে আমাতে এই যে যোগ, এই যোগটিই আমার সকলের চেয়ে বড়ো সত্য, আমার সকলের চেয়ে বড়ো সম্পদ । তুমি আমার মহত্তম সত্যতম আপনস্বরূপ । ঈশ্বরের সঙ্গে এই যোগ উপলব্ধি করবার একটি মন্ত্র হচ্ছে—পিতা নোহসি, তুমি আমাদের পিতা । ধিনি অনন্ত সত্য র্তাকে আমাদের আপন সত্য করবার এই একটি মন্ত্র, তুমি আমাদের পিতা। আমি ছোটে, তুমি ব্রহ্ম, তৰু তোমাতে আমাতে মিল আছে, তুমি পিতা । আমি অবোধ, তুমি অনন্ত জ্ঞান, তবু তোমাতে আমাতে মিল আছে, তুমি পিতা। এই যে যোগ, এই যোগটি দিয়ে তোমাতে আমাতে বিশেষভাবে যাতায়াত, তোমাতে আমাতে বিশেষভাবে দেনাপাওনা। এই যোগটিকে যেন আমি সম্পূর্ণ সজ্ঞানে সম্পূর্ণ সবলে অবলম্বন করি। তাই আমার প্রার্থনা এই যে, পিতা নোবোধি, তুমি ষে পিত আমাকে সেই বোধটি দাও । তুমি তো—পিতা নোহসি, পিতা আছ ; কিন্তু শুধু আছ বললে তো হবে না—পিতা নোবোধি, তুমি জামার পিতা হয়ে আছ এই বোধটি আমাকে দাও । আমার চৈতন্ত ও বুদ্ধি যোগে যে কিছু জ্ঞান আমি পাচ্ছি সমস্তই তার কাছ থেকে পাচ্ছি—ধিয়ে ধোনঃ প্ৰচোদয়াং, যিনি আমাদের ধীশক্তিসকল প্রেরণ করছেন। যিনি