পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांछुिनिटुकडन i See টাকা, বিজ্ঞা, খ্যাতি প্রভৃতির একটা আকর্ষণ এই যে সেগুলোকে নিয়ে সকলে মিলে কাড়াকড়ি করে। অতএব আমি যদি তার কিছু পাই তবে অস্তের চেয়ে আমার জিত হয়। এইজন্তেই সমস্ত উপার্জনের মধ্যে এত ঈর্ষ ক্ৰোধ লোভ রয়েছে। এই জন্তে লোকে এত ফাকি চালায়। যার অর্থ কম সে প্রাণপণে দেখাতে চেষ্টা করে তার অর্থ বেশি, যার বিস্ত অল্প লে সেটা যথাসাধ্য গোপন করবার চেষ্টায় ফেরে । , এইসকল জিনিসের দ্বারা মানুষ মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে চায়, মুতরাং জিনিসে যদি কম পড়ে তবে ফাকিতে সেটা পূরণ করবার ইচ্ছা হয়। মানুষকে ঠকানোওঁ একেবারে অসাধ্য নয়, এইজন্তে সংসারে অনেক প্রতারণা অনেক আড়ম্বর চলে, এইজন্তে ভিতরে যদি বা কিছু জমাতে পারি বাইরে তার সাজসরঞ্জাম করি অনেক বেশি । যে-সব সামগ্রী দশের কাড়াকড়ির সামগ্রী সেইগুলির সম্বন্ধে এই ফাকি অলক্ষ্যে নিজের অগোচরেও এসে পড়ে । ঠাট বজায় রাখবার চেষ্টাকে আমরা দোষের মনে করি নে। এমন কি, বাহিরের সাজের দ্বারা আমরা ভিতরের জিনিসকে পেলুম বলে নিজেকেও ভোলাই । কিন্তু যেখানে আমার আকাঙ্ক্ষা ঈশ্বরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠালাভের আকাঙ্ক্ষা সেখানে যদি ফাকি চালাবার চেষ্টা করি তবে যে একেবারে মূলেই ফাকি হবে। গয়লা দশের দুধে জল মিশিয়ে ব্যবসা চালাতে পারে কিন্তু নিজের দুধে জল মিশিয়ে তার মুনফল কী হবে। n অতএব এইখানে একেবারে সম্পূর্ণ সত্য হতে হবে। যিনি সত্যস্বরূপ উাকে কেউ কোনোদিন ফাকি দিয়ে পার পাবে না। যিনি অন্তৰ্বামী তার কাছে জাল-জালিয়াতি খাটবে না। আমি তার কাছে কতটা খাটি হলুম তা তিনিই জানবেন—মানুষকে যদি জানাবার ইচ্ছা মনের মধ্যে আসে তবে কোনো দিন জালদলিল বানিয়ে তাকে যুদ্ধ মানুষের হাটে বিকিয়ে দিয়ে বসে থাকবে । ওইখানে দশকে আসতে দিয়ে না, নিজেকে খুব করে বাচাও। তুমি যে তাকে চাও এই আকাক্ষাটির দ্বারা তুমি তাকেই লাভ করতে চেষ্টা করে, এর দ্বারা মানুষকে ভোলাবার ইচ্ছা যেন তোমার মনের এক কোণেও ন। আসে। . তোমার এই সাধনায় সবাই যদি তোমাকে পরিত্যাগ করে তাতে তোমার মদলই হবে, কারণ, ঈশ্বরের আসনে সবাইকে বলারার প্রলোভন তোমার কেটে যাবে। ঈশ্বরকে যদি কোনোদিন পাও তৰে কখনো তীর্ষে একলা নিজের মধ্যে ধরে রাখতে পারবে না। কিন্তু সে একটি কঠিন সময়। দশের মধ্যে এসে পড়লেই জল মেশাবার লোভ সামলানো শক্ত হয়, মানুষ তখন মানুষকে চঞ্চল করে, তখন খাটি ভগবানকে