পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

808 ब्ररौौटअ-ब्रछनांबलौ চালাতে পারি নে, লুকিয়ে লুকিয়ে খানিকটা নিজেকে মিশিয়ে দিয়ে বসে থাকি। ক্রমে নিজের মিশালটাই বেড়ে উঠতে থাকে, ক্রমে সত্যের বিকারে অমঙ্গলের স্বষ্টি হয় । অতএব পিতাকে যেদিন পিতা বলতে পারব সেদিন পিতাই যেন সে-কথা আমার মুখ থেকে শোনেন, মানুষ যদি শুনতে পায় তো যেন পাশের ঘর থেকেই শোনে । تق5ة دما র্যশেষ ষাওয়া আসায় মিলে সংসার। এই দুটির মাঝখানে বিচ্ছেদ নেই। বিচ্ছেদ আমরা মনে মনে কল্পনা করি। স্বষ্টি স্থিতি প্রলয় একেবারেই এক হয়ে আছে। সর্বদাই এক হয়ে আছে। সেই এক হয়ে থাকাকেই বলে জগৎসংসার । আজ বর্ষশেষের সঙ্গে কাল বর্ষারম্ভের কোনো ছেদ নেই—একেবারে নিঃশৰো অতি সহজে এই শেষ ওই আরম্ভের মধ্যে প্রবেশ করছে। কিন্তু এই শেষ এবং আরম্ভের মাঝখানে একবার থেমে দাড়ানো আমাদের পক্ষে দরকার। যাওয়া এবং আসাকে একবার বিচ্ছিন্ন করে জানতে হবে, নইলে এই দুটিকে মিলিয়ে জানতে পারব না । সেইজন্যে আজ বর্ষশেষের দিনে আমরা কেবল যাওয়ার দিকেই মুখ ফিরিয়ে দাড়িয়েছি। অস্তাচলকে সম্মুখে রেখে আজ আমাদের পশ্চিম মুখ করে উপাসনা। বং প্রয়ন্ত্যভিসংবিশস্তি—সমস্ত যাওয়াই যার মধ্যে প্রবেশ করছে, দিবসের শেষ মুহূর্তে ধার পায়ের কাছে সকলে নীরবে ভূমিষ্ঠ হয়ে নত কয়ে পড়ছে, আজ সায়াহ্নে তাকে আমরা নমস্কার করব । - অবসানকে বিদায়কে মৃত্যুকে আজ আমরা ভক্তির সঙ্গে গভীরভাবে জানব—তার প্রতি আমরা অবিচার করব না। তাকে তারই ছায়া বলে জানব, যন্ত ছায়ামৃতম্ যস্ত মৃত্যুঃ । মৃত্যু বড়ো সুন্দর বড়ো মধুর। মৃত্যুই জীবনকে মধুময় করে রেখেছে। জীবন বড়ো কঠিন ; সে সবই চায়, সবই অঁাকড়ে ধরে ; তার বজমুষ্টি কৃপণের মতো কিছুই ছাড়তে চায় না। মৃত্যুই তার কঠিনতাকে রসময় করেছে, তার আকর্ষণকে জালগা করেছে; মৃত্যুই তার নীরস চোখে জল এনে দেয়, তার পাষাণস্থিতিকে বিচলিত করে । আসক্তির মতো নিষ্ঠুর শক্ত কিছুই নেই ; সে নিজেকেই জানে, সে কাউকে দয়া করে