পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8役° ब्रवैौटा-ब्रछनांबलौ। লে কি আর অহংকারের সঞ্চয় নিয়ে থাকে? তখন সে আপনার সব দিয়েই সেই আলোককেই প্রকাশ করে। লে ৰে তাকে দেখেছে যিনি ঈশানো ভূতভব্যস্ত, যিনি অতীত ও ভবিস্তুতের অধিপতি। সেই জন্তেই সে ষে সেই বৃহৎ কালের ক্ষেত্রেই আপনাকে এবং সব কিছুকেই দেখতে পায়। সে তো কোনো সাময়িক আসক্তির দ্বারা বদ্ধ হয় না, কোনো সাময়িক ক্ষোভের দ্বারা বিচলিত হতে পারে না । এই জন্তই তার বাক্য ও কর্ম নিত্য হয়ে ওঠে। তা কালে কালে ক্রমশই প্রবলতর হয়ে ব্যক্ত হতে থাকে। যদি বা কোনো এক সময়ে কোনো কারণে তা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে তবে নিজের আচ্ছাদনকে দগ্ধ করে আবার নবীনতর উজ্জলতায় সে দীপ্যমান হয়ে ওঠে। ஆசி মহৰ্ষির ৭ই পৌষের দীক্ষার উপরে আত্মার দীপ্তি পড়েছিল, তার উপরে ভূত ভবিষ্যতের যিনি ঈশান তার আবির্ভাব হয়েছিল। এই জন্তে সেই দীক্ষা ভিতরে থেকে তার জীবনকে ধনী গৃহের প্রস্তরকঠিন আচ্ছাদন থেকে সর্বদেশ সর্বকালের দিকে উদঘাটিত করে দিয়েছে। এবং সেই ৭ই পৌষ এই শান্তিনিকেতন আশ্রমকে স্বটি করেছে এবং এখনও প্রতিদিন একে স্বষ্টি করে তুলছে। তিনি আজ প্রায় অধ" শতাব্দী হল যেদিন এর সপ্তপর্ণের ছায়ায় এসে বসলেন সেদিন তিনি জানতেন না ষে, তার জীবনের সাধনা এইখানে নিত্য হয়ে বিরাজ করবে। তিনি ভেবেছিলেন নির্জন উপাসনার জন্যে এখানে তিনি একটি বাগান তৈরি করেছেন । কিন্তু ন ততো বিজুগুন্সতে। ষে-জায়গায় বড়ো এলে দাড়ান লে-জায়গাকে ছোটো বেড়া দিয়ে আর ঘেরা যায় না। ধনীর সস্তান নিজেকে যেমন পারিবারিক খনমানসন্ত্রমের মধ্যে ধরে রাখতে পারেন নি সকলের কাছে তাকে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে, তেমনি এই শাস্তিনিকেতনকেও তিনি আর বাগান করে রাখতে পারলেন না। এ তার বিষয়সম্পত্তির আবরণকে বিদীর্ণ করে ফেলে বেরিয়ে পড়েছে। এ আপনিই আজ আশ্রম হয়ে দাড়িয়েছে। যিনি ঈশানে ভূতভব্যস্ত, তার স্পর্শে বোলপুরের মাঠের এই ভূখণ্ডটুকু ভূত ও ভবিষ্যতের মধ্যে ব্যাপ্ত হয়ে দেখা দিয়েছে। এই আশ্রমটির মধ্যে ভারতবর্ষের একটি ভূতকালের আবির্তাব আছে। সে হচ্ছে সেই তপোবনের কাল। ষে-কালে ভারতবর্ষ তপোবনে শিক্ষালাভ করেছে, তপোবনে সাধনা করেছে এবং সংসারের কর্ম সমাধা করে তপোবনে জীবিতেশ্বরের কাছে জীবনের শেষ নিশ্বাস নিবেদন করে দিয়েছে। ষে-কালে ভারতবর্ষ জল স্থল আকাশের সঙ্গে আপনার ৰোগ স্থাপন করেছে এবং তরুলত পশুপক্ষীর সঙ্গে আপনার বিচ্ছেদ দুর করে দিয়ে—সর্বভূতেষু চাক্মানং—আত্মাকে সর্বভূতের মধ্যে দর্শন করেছে। ।