পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भनंांछिनिटकष्ठन 8to গ্রহণ, সেই ত্যাগই গভীরতর আনন্দ । সেই ত্যাগই নিখিলের সঙ্গে যোগ, ৰুমার সঙ্গে মিলন। অতএব ভারতবর্ষের ষে আদর্শ তপোবন, সে-তপোবন শরীরের বিরুদ্ধে আত্মার, সংসারের বিরুদ্ধে সন্ন্যাসের একটা নিরন্তর হাতাহাতি যুদ্ধ করবার মরক্ষেত্র নয়। যৎ কিঞ্চ জগত্যাং জগৎ, অর্থাৎ ধা-কিছু-সমস্তের সঙ্গে ত্যাগের দ্বারা বাধাহীন মিলন, এইটেই হচ্ছে তপোবনের সাধনা । এই জন্তেই তরুলত পশুপক্ষীর সঙ্গে ভারতবর্ষের আত্মীয়-সম্বন্ধের যোগ এমন ঘনিষ্ঠ যে, অঙ্গদেশের লোকের কাছে সেটা অভূত মনে হয়। * এই জন্তেই আমাদের দেশের কবিত্বে যে প্রকৃতিপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায় অন্তদেশের কাব্যের সঙ্গে তার যেন একটা বিশিষ্টতা আছে । আমাদের এ প্রকৃতির প্রতি প্রভূত্ব করrনয়, প্রকৃতিকে ভোগ করা নয়, এ প্রকৃতির সঙ্গে সন্মিলন । অথচ এই সন্মিলন অরণ্যবাসীর বর্বরতা নয়। তপোবন আফ্রিকার বন যদি হত তাহলে বলতে পারতুম প্রকৃতির সঙ্গে মিলে থাকা একটা তামসিকতা মাত্র। কিন্তু মামুষের চিত্ত যেখানে সাধনার দ্বারা জাগ্রত আছে সেখানকার মিলন কেবলমাত্র অভ্যাসের জড়ত্বজনিত হতে পারে না । সংস্কারের বাধা ক্ষয় হয়ে গেলে যে-মিলন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে তপোবনের মিলন হচ্ছে তাই । আমাদের কবিরা সকলেই বলেছেন, তপোবন শাস্তরসাম্পদ। তপোবনের যে একটি বিশেষ রস আছে সেটি শান্তরস। শান্তরল হচ্ছে পরিপূর্ণতার রস। যেমন সাতটা বর্ণরশ্মি মিলে গেলে তবে সাদা রং হয় তেমনি চিত্তের প্রবাহ নানাভাগে বিভক্ত না হয়ে যখন অবিচ্ছিন্নভাবে নিখিলের সঙ্গে আপনার সামঞ্জস্তকে একেবারে কানায় কানায় ভরে তোলে তখনই শাস্তরসের উদ্ভব হয় । তপোবনে সেই শাস্তরস। এখানে স্থৰ অগ্নি বায়ু জল স্থল আকাশ তরুলতা মৃগ পক্ষী সকলের সঙ্গেই চেতনার একটি পরিপূর্ণ যোগ । এখানে চতুদিকের কিছুর সঙ্গেই মামুষের বিচ্ছেদ নেই এবং বিরোধ নেই । * ভারতবর্ষের তপোবনে এই যে একটি শাস্তরসের সংগীত বাধা হয়েছিল এই সংগীতের আদশেই আমাদের দেশে অনেক মিশ্র রাগ-রাগিণীর স্বষ্টি হয়েছে । সেই জন্তেই আমাদের কাব্যে মানবব্যাপারের মাঝখানে প্রকৃতিকে এত বড়ো স্থান দেওয়া হয়েছে। এ কেবল সম্পূর্ণতার জন্তে আমাদের যে একটি স্বাভাবিক আকাঙ্ক আছে অভিজ্ঞানশকুন্তল নাটকে ষে দুটি তপোবন আছে সে ছুটিই শকুন্তলার স্থখন্থখকে একটি বিশালতার মধ্যে সম্পূর্ণ করে দিয়েছে। আর একটি তপোবন পৃথিবীতে, আর