পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ণ্ড ब्रदौटल-ब्रछनांवलौ তোমার নর্তকী দল বিরহমিলন ঝঞ্জনিয়া খঞ্জনী বাজায় । স্মৃতি-বিস্মৃতির ছন্দ-আন্দোলনে উত্তালছন্দিত মুক্তি আর বন্ধ দোহে নৃত্য করে নূপুর-মন্দ্রিত, দুঃখ আর সুখ । বিশ্বের হৃৎপিণ্ড সেই দ্বন্দ্ৰবেগে ব্যথিত স্পন্দিত, করে ধুকধুক । এই ভালো, এই মন্দ, এই দ্বন্দ্ব আঘাতে সংঘাতে নিক মোরে টেনে । আলো-আঁধারের দোলে পুনঃপুনঃ আশা-আশঙ্কাতে যাক মোরে হেনে । সেই তরঙ্গের উধেব দিক দেখা, হে রুদ্র নিষ্ঠুর, জ্যোতিঃশতদল তব স্থির দীপ্ত আসন বিষ্ণুর, अग्नांन-मश्यिां । সব দ্বন্দ্ব মগ্ন করে গন্ধ তার আনন্দের স্বর নাহি তার সীমা । “মুক্তি", প্রথম স্তবক সেখী মোর চিরন্তন শেষ'-এর পর পথে যেতে যদি কভু সাথি বলে চিনি বিশ্বপতি, তোমারে কোথাও — প্রভু, যদি কভু তব প্রভুত্বের দাবি মোর প্রতি ছেড়ে দিতে চাও ! তাহলে আস্থক সন্ধ্যা বিরামের মহাসিন্ধুতটে, শাস্তিবারি পূর্ণ হোক গোধূলির স্বর্ণময় ঘটে ; শিশুর মতন তুমি একে দাও আকাশের পটে আনমনে যাহ-তাহা ছবি । শিশুর মতন বলি একাসনে তোমা সনে কবি । “দুঃখসম্পদ”, “চিরদিন গোপনে বিরাজে’র পর যখনি কুঁড়ির বক্ষ বিদীর্ণ করিয়া দেয় তাপে, তখনি তো জানি, ফুল চিরদিন ছিল তারি চাপে ।