পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G9е রবীন্দ্র-রচনাবলী বোধ হল—মনে হল ভালোই লিখেছি। বিস্মরণশক্তির প্রবলতাবশত নিজের কবিতা থেকে নিজের মন যখন দূরে সরে যায় তখন সেই কবিতাকে অপর সাধারণ পাঠকের মতোই নিরাসক্তভাবে আমি প্রশংসা এবং নিন্দাও করে থাকি। নিজের পুরোনো লেখা নিয়ে বিস্ময় বোধ করতে বা স্বীকার করতে আমার সংকোচ হয় না—কেননা তার সম্বন্ধে আমার অহমিকার ধার ক্ষয় হয়ে যায় । পড়ে দেখলাম : তোমারে ভুলিতে মোর হল না ৰে মতি, এ জগতে কারো তাহে নাই কোনো ক্ষতি । चाथि उाप्श् मौन नश्,ि ठूमि नश् की, দেবতার অংশ তাও পাইবেন তিনি । নিজের লেখা জেনেও আমাকে স্বীকার করতে হল যে, ছোট্রোর মধ্যে এই কবিতাটি সম্পূর্ণ ভরে উঠেছে। পেটুকচিত্ত পাঠকের পেট ভরাবার জন্যে একে পচিশ-ত্রিশ লাইন পর্যন্ত বাড়িয়ে তোলা যেতে পারত—এমন কি, একে বড়ো আকারে লেখাই এর চেয়ে হত সহজ । কিন্তু লোভে পড়ে একে বাড়াতে গেলেই একে কমানো হত। তাই নিজের অলুব্ধ কবিবুদ্ধির প্রশংসাই করলেম । তার পরে আর-একটা কবিতা : ভোর হতে নীলাকাশ ঢাকে কালো মেঘে, ভিজে ভিজে এলোমেলে৷ বায়ু বহে বেগে । কিছুই নাহি যে হার এ বুকের কাছে— যা কিছু আকাশে জার বাতাসেতে আছে । আবার বললেম, শাবাশ। হৃদয়ের ভিতরকার শূন্তত বাইরের আকাশ-বাতাস পরিপূর্ণ করে হাহাকার করে উঠছে এ-কথাটা এত সহজে এমন সম্পূর্ণ করে বাংলা সাহিত্যে আর কে বলেছে ? ওর উপরে আর একটি কথাও যোগ করবার জো নেই। ক্ষীণদৃষ্টি পাঠক এতটুকু ছোটো কবিতার সৌন্দর্ব দেখতে পাবে না জেনেও আমি ষে নিজের লেখনীকে সংযত করেছিলেম এজন্তে নিজেকে মনে মনে বলতে হল ধন্ত । তার পরে আর-একটি কবিতা : बांकांप्ल नंझ्म cभाष गंडीब्र खfन, শ্রাবণের ধারাপাতে প্লাৰিত ভুবন। কেন এতটুকু নামে সোহাগের ভরে ডাকিলে জামারে তুমি ? পূর্ণ নাম ধরে