পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.* গ্রন্থ-পরিচয় NOම් একটা অংশ । এই যন্ত্র প্রাণকে আঘাত করছে, অতএব প্রাণ দিয়েই সেই যন্ত্রকে অভিজিৎ ভেঙেছে, যন্ত্র দিয়ে নয়। যন্ত্র দিয়ে যারা মামুহকে আঘাত করে তাদের একটা বিষম শোচনীয়তা আছে—কেননা ষে-মচুন্যত্বকে তারা মারে সেই মহুস্তত্ব যে তাদের নিজের মধ্যেও আছে—তাদের যন্ত্রই তাদের নিজের ভিতরকার মানুষকে মারছে আমার নাটকের অভিজিৎ হচ্ছে সেই মারনেওয়ালার ভিতরকার পীড়িত মানুষ নিজের যন্ত্রের হাত থেকে নিজে মুক্ত হবার জন্তে সে প্রাণ দিয়েছে । আর ধনঞ্জয় হচ্ছে যন্ত্রের হাতে মারখানেওয়ালার ভিতরকার মানুষ । সে বলছে, “আমি মারের উপরে ; মার আমাতে এসে পৌছয় না—আমি মারকে না-লাগা দিয়ে জিতব, আমি মারকে ন+মার দিয়ে ঠেকাব।” যাকে আঘাত করা হচ্ছে সে সেই আঘাতের দ্বারাই আঘাতের অতীত হয়ে উঠতে পারে, কিন্তু যে-মানুষ আঘাত করছে আত্মার ট্র্যাজেডি তারই— মুক্তির সাধনা তাকেই করতে হবে, যন্ত্রকে প্রাণ দিয়ে ভাঙবার ভার তারই হাতে। পৃথিবীতে যন্ত্রী বলছে “মার লাগিয়ে জয়ী হব।” পৃথিবীতে মন্ত্রী বলছে, “হে মন, মারকে ছাড়িয়ে উঠে জয়ী হও ।” আর নিজের যন্ত্রে নিজে বন্দী মানুষটি বলছে, “প্রাণের দ্বারা যন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি পেতে হবে মুক্তি দিতে হবে।” যন্ত্রী হচ্ছে বিভূতি, মন্ত্রী হচ্ছে ধনঞ্জয়, আর মানুষ হচ্ছে অভিজিং ।. ‘মুক্তধারা’র পূর্বকল্পিত নাম ছিল ‘পথ ; শ্ৰীমতী রাহু অধিকারীকে একটি চিঠিতে ( ৪ মাঘ ১৩২৮) রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন— আমি সমস্ত সপ্তাহ ধরে একটা নাটক লিখছিলুম—শেষ হয়ে গেছে তাই আজ আমার ছুটি । এ নাটকটা ‘প্রায়শ্চিত্ত নয়, এর নাম ‘পথ’। এতে কেবল প্রায়শ্চিত্ত নাটকের সেই ধনঞ্জয় বৈরাগী আছে, আর কেউ নেই—সে গল্পের কিছু এতে নেই, সুরমাকে এতে পাবে না ।১ 5|斜○済 রচনাবলীর বর্তমান খণ্ড হইতে গল্পগুচ্ছ, সাময়িক পত্রে প্রকাশকালের অনুক্রম যতদূর জানা যায়, তদনুসারে, মুত্রণ আরম্ভ হইল। বর্তমান খণ্ডে প্রকাশিত গল্পগুলি সাময়িক পত্রে প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া গেল : ঘাটের কথা কার্তিক ১২৯১, ভারতী রাজপথের কথা অগ্রহায়ণ ১২৯১, নবজীবন মুকুট বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ১২৯২, বালক ১‘ভানুসিংহের পত্রাবলী, পত্র ৪৩