পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ey , ब्रबौटश-ब्रक्रमांयजौ তাদের কাছে আমার একটা কৈফিয়ত দেবার সময় এল। একসময়ে মাসের পর মাস আমি পল্পীজীবনের গল্প রচনা করে এসেছি । আমার বিশ্বাস এর পূর্বে বাংলা সাহিত্যে পল্পীজীবনের চিত্র এমন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হয় নি। তখন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লেখকের অভাব ছিল না। তারা প্রায় সকলেই প্রতাপসিংহ বা প্রতাপাদিত্যের ধ্যানে নিবিষ্ট ছিলেন। আমার আশঙ্কা হয় একসময় গল্পগুচ্ছ বুর্জোয়া লেখকের সংসৰ্গদোষে অসাহিত্য বলে অস্পৃপ্ত হবে। এখনি যখন আমার লেখার শ্রেণীনির্ণয়, করা হয় তখন এই লেখাগুলির উল্লেখমাত্র হয় না, যেন ওগুলির অস্তিত্বই নেই। জাতে ঠেলাঠেলি আমাদের রক্তের মধ্যে আছে তাই ভয় হয় এই আগাছাটাকে উপড়ে ফেলা শক্ত হবে। . —শ্ৰীনন্দগোপাল সেনগুপ্তকে লিখিত পত্র ১ মে ১৯৪১ ] ...অসংখ্য ছোটো ছোটো লীরিক লিখেছি—বোধ হয় পৃথিবীর অন্য কোনো কবি এত লেখেন নি—কিন্তু আমার অবাক লাগে তোমরা যখন বল যে আমার গল্পগুচ্ছ গীতধর্মী। একসময়ে ঘুরে বেড়িয়েছি বাংলার নদীতে নদীতে, দেখেছি বাংলার পল্লীর বিচিত্র জীবনযাত্রা। একটি মেয়ে নৌকো করে শ্বশুরবাড়ি চলে গেল, তার বন্ধুরা ঘাটে নাইতে-নাইতে বলাবলি করতে লাগল, আহ, যে পাগলাটে মেয়ে, শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ওর কি না জানি দশা হবে । কিংবা ধরে একটা খ্যাপাটে ছেলে সারা গ্রাম দুষ্টুমির চোটে মাতিয়ে বেড়ায়, তাকে হঠাৎ একদিন চলে যেতে হল শহরে তার মামার কাছে। এইটুকু চোখে দেখেছি, বাকিটা নিয়েছি কল্পনা করে। একে কি তোমরা গানজাতীয় পদার্থ বলবে ? আমি বলব আমার গল্পে বাস্তবের অভাব কখনো ঘটে নি। য+কিছু লিখেছি নিজে দেখেছি, মর্মে অনুভব করেছি, সে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা। গল্পে যা লিখেছি তার মূলে আছে আমার অভিজ্ঞতা, আমার নিজের দেখা । তাকে গীতধর্মী বললে ভুল করবে। কঙ্কাল কি ক্ষুধিত পাষাণকে হয়তো খানিকটা বলতে পার, কারণ সেখানে কল্পনার প্রাধান্ত, কিন্তু তাও পুরোপুরি নয়। তোমরা আমার ভাষার কথা বল, বল যে গদ্যেও আমি কবি । আমার ভাষা যদি কখনো আমার গল্পাংশকে অতিক্রম করে স্বতন্ত্র মূল্য পায়, সেজন্য আমাকে দোষ দিতে পার না । এর কারণ, বাংলা গদ্য আমার নিজেকেই গড়তে হয়েছে। ভাষা ছিল না, পর্বে পর্বে স্তরে স্তরে তৈরি করতে হয়েছে আমাকে । আমার প্রথম দিককার গন্তে, যেমন “কাব্যের উপেক্ষিতা”, “কেকাধবনি”, এ-সব প্রবন্ধে, পষ্ঠের ঝোক খুব S DDS BBBBBS BBBB BBS SSBBBDDSDBDS DDD DDAt