পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থ-পরিচয় ●●● বেশি ছিল, ও-সব যেন অনেকট গদ্য-পষ্ঠ গোছের। গদ্যের ভাষা গড়তে হয়েছে আমার গল্পপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে। মোপাসার মতো যে-সব বিদেশী লেখকের কথা তোমরা প্রায়ই বল, র্তারা তৈরি ভাষা পেয়েছিলেন । লিখতে লিখতে ভাষা গড়তে হলে তাদের কী দশা হত জালি নে । ভেবে দেখলে বুঝতে পারবে আমি যে ছোটো ছোটো গল্পগুলো লিখেছি, বাঙালি সমাজের বাস্তবজীবনের ছবি তাতেই প্রথম ধরা পড়ে। বঙ্কিম ষে ‘দুর্গেশনন্দিনী, ‘কপালকুণ্ডলা' লিখেছিলেন, সে-সব কি সত্যি ছিল ? সে-সব romantic situation কি তখন ঘটতে পারত ? সত্যি হচ্ছে এই যে, তিনি পড়েছিলেন ইংরেজি রোমান্স, পড়ে ভালো লেগেছিল। তৃপ্তির একটা ক্ষেত্র তো চাই । বঙ্কিম পেয়েছিলেন সে ক্ষেত্র, আমাদের দিয়েছিলেন । আমি তাই বলি, বঙ্কিমের রচনায় আমরা যা পাই তা সামন্ততন্ত্র নয়। তাকে নতুন একটা পিপাসা বলতে পার, যা মেটাবার রস তিনি যেখান থেকে হোক সংগ্রহ করেছিলেন। তার বইগুলোতে যে-সব কাগুকারখানা আছে, সেগুলো তার স্মৃতির মধ্যেও ছিল না। আর মজা এই, আমাদের তা ভালোও লেগেছে, কারণ এ স্বাদ আমরা অাগে কখনো পাই নি । নিন্দে করতে পারব না বঙ্কিমকে, নিশ্চয়ই বলব তিনি ও-রসের জোগান দিয়েছিলেন বলেই বেঁচে গিয়েছিলুম। কৗ dull সমাজ ছিল তখন । তারই মধ্যে বিদেশ থেকে আমদানি এ-সব রাজার লড়াই ইত্যাদি আমাদের গরিবের মনে একটা উন্মাদনা এনে দিয়েছিল। বিদেশ থেকে আমদানি বলে একে আমি ছোটো করছি না। এতে সন্দেহ নেই যে, ইংরেজ ওদের যে-সাহিত্য আমাদের দেশে আনলে, তা আমাদের চিত্তবৃত্তিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। তবে এও সত্য যে, বাংলাদেশে ক্ষেত্রও প্রস্তুত ছিল,—আমাদের মনটাই সাহিত্যিক । যুরোপীয় কালচার ঠিক জায়গা পেয়েছিল আমাদের মধ্যে। সোনার ফসল ফলল ইংরেজ আসার দরুন নয়, আমরা ওদের সাহিত্য পেয়েছিলুম বলে। ইংরেজ না হয়ে ফরাসি যদি হত আজ আমরা সব মোপাস হয়ে উঠতুম। আমরা ব্যাকুল হয়ে ছিলুম, তাই পাওয়ামাত্র আগ্রহভরে নিয়েছি। বঙ্কিমের গল্প এখন হয়তো তোমাদের কাছে আজগুবি ঠেকে, কিন্তু আমরা তাতে যে নতুন রস পেয়েছিলুম, তা ভুলতে পারি নে। এখন তোমরা বল তোমাদের সমাজেই সব আছে, গল্পের সব উপাদানই পাও তা থেকে। কিন্তু এখনকার মুখ দুঃখ ভালোবাসা কি তখন ছিল না ? তখনও ছিল, চোখে পড়ে নি। আবরণ রচনা করেছিল বিদেশী রোমান্স ।... —শ্ৰীৰুদ্ধদেব বস্থর সহিত আলোচনার অনুলিপি•

  • जड़ेश : *नांहिष्ठा, नांब, इवि", थरांगैो, जांबांछ् غه د« * ,