পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরী তার পরে যেন তারা সর্বহার দিগন্তে মিলায়, চিহ্ন নাহি রাখে । হে রবি, প্রাঙ্গণে তব শরতের সোনার বঁাশিতে জাগিল মূছনা । আলোতে শিশিরে বিশ্ব দিকে দিকে আশ্রতে হাসিতে চঞ্চল উন্মনা । জানি না কী মত্ততায়, কী আহবানে আমার রাগিণী ধেয়ে যায় অন্তমনে শূন্তপথে হয়ে বিবাগিনী, লয়ে তার ডালি । সে কি তব সভাস্থলে স্বপ্রাবেশে চলে একাকিনী আলোর কাঙালি ? দাও, খুলে দাও দ্বার, ওই তার বেলা হল শেষ, বুকে লও তারে । শাস্তি-অভিষেক হ’ক, ধৌত হ’ক সকল আবেশ অগ্নি-উংসধারে । সমস্তে, গোধূলি-লগ্নে দিয়ে একে সন্ধ্যার সিন্দুর, প্রদোষের তারা দিয়ে লিখে রেখা আলোক-বিন্দুর তার স্নিগ্ধ ভালে । দিনান্ত-সংগীতধ্বনি স্থগম্ভীর বাজুক সিন্ধুর তরঙ্গের তালে ৷ হারুন-মারু জাহাজ ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৪