পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী বিরহের দূতী এসে তার সে স্তিমিত দীপখানি চিত্তের অজানা কক্ষে কখন রাখিয়া দিল আনি । সেখানে যে বীণা অাছে অকস্মাৎ একটি আঘাতে মুহূর্ত বাজিয়াছিল ; তার পরে শব্দহীন রাতে বেদনাপদ্মের বীণাপাণি সন্ধান করিছে সেই অন্ধকারে-থেমে-যাওয়া বাণী ॥ সেদিন ঢেকেছে তা রে কী এক ছায়ার সংকোচন, নিজের অধৈর্য দিয়ে পারে নি তা করিতে মোচন । তার সেই ত্রস্ত আঁখি, স্বনিবিড় তিমিরের তলে যে-রহস্য নিয়ে চলে গেল, নিত্য তাই পলে পলে মনে মনে করি যে লুণ্ঠন ৷ চিরকাল স্বপ্নে মোর খুলি তার সে অবগুণ্ঠন ॥ হে আত্মবিশ্বত, যদি দ্রুত তুমি না যেতে চমকি, বারেক ফিরায়ে মুখ পথমাঝে দাড়াতে থমকি, তা হলে পড়িত ধরা রোমাঞ্চিত নি:শব্দ নিশায় দুজনের জীবনের ছিল যা চরম অভিপ্রায় । তা হলে পরমলগ্নে, সখী সে ক্ষণকালের দীপে চিরকাল উঠিত আলোকি ॥ হে পাস্থ, সে পথে তব ধূলি অাজ করি যে সন্ধান ;– বঞ্চিত মুহূর্তখানি পড়ে আছে, সেই তব দান । অপূর্ণের লেখাগুলি তুলে দেখি বুঝিতে না পারি, চিহ্ন কোনো রেখে যাবে, মনে তাই ছিল কি তোমারি ? ছিন্ন ফুল, এ কি মিছে ভান ? কথা ছিল শুধাবার, সময় হল যে অবসান ॥ গেল না ছায়ার বাধা , ন-বোঝার প্রদোষ-আলোকে স্বপ্নের চঞ্চল মূর্তি জাগায় আমার দীপ্ত চোখে