পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী দূরে গেলে একা বসে মনে মনে ভাবা, কাছে এলে তুই চোখে কথা-ভরা আভা । তাহারে জড়ায়ে ঘিরে ভরিয়া তুলিবে ধীরে জীবনের কদিনের কাদা অার হাসা । ধন নয়, মান নয়, কিছু ভালোবাসা করেছিকু আশা । আগুেস জাহাজ ১৯ অক্টোবর, ১৯২৪ বাতাস গোলাপ বলে, ওগো বাতাস, প্রলাপ তোমার বুঝতে কে বা পারে, কেন এসে ঘা দিলে মোর স্বারে ? বাতাস বলে, ওগো গোলাপ, আমার ভাষা বোঝ বা নাই বোঝ, আমি জানি কাহার পরশ খোজ ; সেই প্রভাতের আলো এল, আমি কেবল ভাঙিয়ে দিলাম ঘুম হে মোর কুস্বম | পাখি বলে, ওগো বাতাস, কী তুমি চাও বুঝিয়ে বলে মোরে, কুলায় আমার দুলাও কেন ভোরে ? বাতাস বলে, ওগো পাখি, আমার ভাষা বোঝ বা নাই বোঝ, আমি জানি তুমি কারে খোজ ; সেই আকাশে জাগল আলো আমি কেবল দিকু তোমায় আনি সীমাহীনের বাণী । নদী বলে, ওগো বাতাস, বুঝতে নারি কী-যে তোমার কথা, কিসের লাগি এতই চঞ্চলত । বাতাস বলে, ওগো নদী, আমার ভাষা বোবা বা নাই বোঝ, জানি তোমার বিলয় ৰেথ খোজ ; সেই সাগরের ছন্দ আমি এনে দিলাম তোমার বুকের কাছে, তোমার ঢেউয়ের নাচে ।